• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাশিয়ার প্রস্তাবেই পশ্চিমাদের ঝোঁক, তেল নেবে ৬০ ডলারেই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০৯:০২ এএম
রাশিয়ার প্রস্তাবেই পশ্চিমাদের ঝোঁক,  তেল নেবে ৬০ ডলারেই

টানা ১০ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের খরচ মেটাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নির্ভর করতে হয় তেল বিক্রির ওপর। রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পুতিনকে দুর্বল করতে চেয়েছিল পশ্চিমারা। তবে পুতিন চেয়েছিলেন ৬০ ডলারে তেল কিনবে তারা। এবার পুতিনের প্রস্তাবের দিকেই ঝুঁকল পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সমুদ্রপথে আনা প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

ফলে এখন থেকে পশ্চিমাদের প্রতি ব্যারেল তেল ৬০ ডলার বা এর চেয়ে কম দামে কিনতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রস্তাব অনেকটাই মেনে নিল। পুতিনের চাওয়া ছিল, ৬০ ডলারেই তেল কিনবে পশ্চিমারা। সেই ৬০ ডলারে তেল কেনার ব্যাপারে একমত হয়েছে তারা।

তবে ইউক্রেনের চাওয়া, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হোক।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমা শক্তিগুলো সিদ্ধান্ত নেয়, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তেলের দাম কমানোর বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে তারা পৌঁছাবে। তেল বেচে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেন ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে না পারেন, সে লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত পশ্চিমা দেশগুলোর।

কম দামে রাশিয়ার সামুদ্রিক অপরিশোধিত তেল কেনার মূল প্রস্তাব শীর্ষ সাত অর্থনীতির জোট জি-৭-এর দেশগুলোর। তাদের প্রস্তাব ছিল, বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম সামগ্রিকভাবে ৫ শতাংশ বা এর বেশি কমিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলার থেকে ৭০ ডলার দরে তেল কিনতে হবে। পরে নানা বিতর্ক ও আলোচনায় দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা বলছেন, রোববারের (৪ ডিসেম্বর) মধ্যে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে জি-৭ জোট। তবে গণমাধ্যমে তাঁরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে রাজি নন। জ্বালানির এ দর বর্তমানে রুশ অপরিশোধিত তেলের দামের কাছাকাছি।

৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তার আগেই একটা ঐকমত্যে পৌঁছানো ইউরোপের জন্য বেশ জরুরি ছিল। কারণ, যেসব জাহাজ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন করবে, তাদের ক্ষেত্রে বিমা প্রযোজ্য হবে না। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে চীন, ভারতসহ আর যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, জাহাজের অধিকাংশ বিমাকারী ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক।

Link copied!