• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

২০৩০ সালের মধ্যে অমরত্ব অর্জন করবে মানুষ: বিজ্ঞানী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ১১:১০ এএম
২০৩০ সালের মধ্যে অমরত্ব অর্জন করবে মানুষ: বিজ্ঞানী

আপনি কি কখনও মৃত্যুর কথা চিন্তা না করে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকার কথা ভেবেছেন? যদিও বেঁচে থাকার যথার্থতা হচ্ছে মৃত্যু। অর্থাৎ মৃত্যু আছে বলেই জীবন এতো প্রিয়। এ জন্যই মানুষ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের জীবনের ব্যাপ্তি দীর্ঘায়িত করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে জীবনের এই দীর্ঘায়ু বাড়ানো গেলেও, মানুষ কী আদৌ অমরত্ব লাভ করতে পারবে?

অমরত্ব এখন পর্যন্ত একটি ধারণা মাত্র তবে শিগগিরই নাকি অমরত্ব পেতে চলেছে মানবজাতি! সম্প্রতি এক বিজ্ঞানীর গবেষণায় যে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য ইকোনোমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গুগলের সাবেক প্রকৌশলী রে কার্জউইলের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হলে বদলে যেতে পারে পুরো মানব সভ্যতা। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে মানুষ মাত্র সাত বছরের মধ্যে অমর হয়ে উঠবে। তার ১৪৭টি ভবিষ্যদ্বাণীর ৮৬ শতাংশেরও বেশি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ অমর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং সাবেক প্রকৌশলী কার্জউইল ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি পেয়েছিলেন।

এর আগে এই বিজ্ঞানীর বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয়েছিল। ২০০৫ সালে প্রকাশিত কার্জউইল তার বই ‘দ্য সিঙ্গুলারিটি ইজ নিয়ার’-এ মানুষের অমরত্ব অর্জনের তথ্যটি জানিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তির অগ্রগতির উদ্ধৃতি দিয়ে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তার বইতে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, প্রযুক্তি মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি অমরত্ব পেতে সহায়তা করবে। তিনি জেনেটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, রোবোটিক্স এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি জেনেটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, রোবোটিক্স ও আরও অনেক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মানুষের অমরত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যা নিয়ে সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল অ্যাডাজিওতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০২৯ হলো সেই সময় যা আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছি যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বৈধ টিউরিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিমত্তার স্তর (সক্ষমতা) অর্জন করবে।”

কার্জউইল বলেছেন, আমাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষ ও টিস্যুগুলো ক্ষয় হতে শুরু করে। এর কারণেই মানুষ বিভিন্ন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। তিনি ন্যানোপ্রযুক্তি ও রোবোটিক্স সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ন্যানোপ্রযুক্তি ও রোবোটিক্স বয়স কমানোর ‘ন্যানোবট তৈরি করবে যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী কোষ ও টিস্যুগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ঠিক করতেই থাকবে। এর ফলে মানুষ বেঁচে থাকবে  যুগের পর যুগ।

এটি কার্জউইলের প্রথম ভবিষ্যদ্বাণী নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন। যেমন ১৯৯০ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বিশ্বের সেরা দাবা খেলোয়াড় ২০০০ সালের মধ্যে একটি কম্পিউটারের কাছে হেরে যাবে, যা ১৯৯৭ সালে সত্যি প্রমাণিত হয়েছিল যখন ক্রোয়েশিয়ার গ্যারি কাসপারভ কম্পিউটার ডিপ ব্লুর কাছে হেরেছিলেন।

পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তিনি আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ১ হাজার ডলার মূল্যের একটি ল্যাপটপে স্টোরেজ এবং মানুষের মস্তিষ্কের মতোই ক্ষমতা থাকবে।

তবে অমরত্বের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আগামী দিনে মানুষ অমর হতে চলেছে কি-না এখন সেটাই দেখার বিষয়।

Link copied!