যুক্তরাষ্ট্রে খ্যাতিমান লেখক সালমান রুশদির হামলাকারীর সঙ্গে যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। এমনকি দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে হামলার জন্য লেখককেই দোষারোপ করেছে তারা।
শুক্রবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রুশদি। এ ঘটনায় ইরানের গণমাধ্যমে উচ্ছ্বাস করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইরানের এমন অবস্থানকে ‘ঘৃণ্য আচরণ’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
ইরানি সংবাদমাধ্যম এই হামলাকে ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতিশোধ’ বলে অভিহিত করে বিরূপ মন্তব্য করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাম-ই জ্যাম এ হামলায় রুশদি এক চোখে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন উল্লেখ করে বলে, “শয়তানের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।”
শিটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতার আগে ৭৫ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। এ সময় তার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীও মাথায় সামান্য আঘাত পান।
হামলার ঘটনায় নিউ জার্সি থেকে ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত মাতারকে (২৪) জামিন ছাড়া রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :