• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্ধশতাধিক দেশে মাঙ্কিপক্স, উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২, ০২:০৩ পিএম
অর্ধশতাধিক দেশে মাঙ্কিপক্স, উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আফ্রিকা অঞ্চলের বিরল ভাইরাস মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। মে মাস থেকে ৫০টির বেশি দেশে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এটিকে এখনো বৈশ্বিক মহামারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে দিন দিন প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির প্রধান তেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস।

শনিবার (২৫ জুন) বিশ্ব স্বাস্থ্য থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, “মে মাসের শুরু থেকে আমাদের সংস্থার পাঁচ অঞ্চলের ৫০টির বেশি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে। প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

বিশ্বের অনেক দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ায় আলোচনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসকদের এক জরুরি শীর্ষ বৈঠক আহ্বান করা হয়। তবে এটিকে এখনই ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ বলছেন না তারা।

বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে তেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস আরো বলেন, “সামগ্রিকভাবে তারা (বিশেষজ্ঞরা) আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স আন্তর্জাতিক উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। এটি জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করতে পারে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, “আমাদের এখন নজরদারি ভাইরাসের শনাক্ত সর্বোচ্চ নির্ণয় করা, আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা ও যত্ন সহকারে জনস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করে ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করা। এজন্য এখন আমাদের সম্মিলিত মনোযোগ ও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজন। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মতো স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে।”

তেড্রোস বলেন, “কমিটি উল্লেখ করেছে, কয়েক দশক ধরে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছিল। এত দিন এটি রোধে গবেষণা, মনোযোগ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে অবহেলা করা হয়েছে। এটি কেবল মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে নয়, বরং নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে অন্যান্য রোগের জন্যও পরিবর্তন হওয়া উচিত।”

তেড্রোস আরও বলেন, “জরুরি কমিটিতে অংশগ্রহণকারী বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। প্রাদুর্ভাবের বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনে সতর্কতা ও সম্ভাব্য পুনর্গঠনের জন্য তাদের পরামর্শ অনুসরণ করব।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি বলছে, ৭ মে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে জানার পর থেকে ক্লিনিক্যাল নির্দেশিকা জারি করেছে তারা। শত শত বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আহ্বান করেছে, যাতে মাঙ্কিপক্সে গবেষণা ও বিকাশের গতি বাড়িয়ে নতুন সরঞ্জাম তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করা যায়।

Link copied!