মাসা আমিনিকে হত্যার প্রতিবাদে গত সেপ্টেম্বর থেকে ইরানে শুরু ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রচণ্ড অস্থিরতায় ইরানজুড়ে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইরান সরকার।
আল-জাজিরা জানায়, প্রথমবারের মতো এই বিক্ষোভে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে কথা বলল ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তিনি দেশটির বর্তমান শাসনকাঠামোর পক্ষেও তার মত তুলে ধরেছেন।
তবে জাতিসংঘ ও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার দাবি, তিন মাসে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এরই মধ্যে তিন শতাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আরেকটি সূত্র থেকে ডয়েচে ভেলেতে জানানো হয় এখন পর্যন্ত ৪৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভে। ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাসা আমিনির মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বরে।
এরপর এ মাসের শেষদিকে ইরানের অসংখ্য শহরে হিজাববিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। পরে একপর্যায়ে তা সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভে রূপ নেয়। এতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিলে এবারের বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়।
ঘরের বাইরে নারীরা বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নীতি মানছেন কি না, তা দেখভালের দায়িত্ব নীতি-পুলিশের।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই শতাধিক নিহতের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর রয়েছেন সদস্যরাও। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও নিহত বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাকারী অভিহিত করা হয় সেখানে। পাশাপশি সাধারণ মানুষও নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :