• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

দিনে সৌর ও রাতে জলবিদ্যুৎ পাওয়া যায় যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম
দিনে সৌর ও রাতে জলবিদ্যুৎ পাওয়া যায় যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে

কেন্দ্র একটি হলেও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় দুই ধরনের। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুতের সবটাই পরিবেশবান্ধব। অভিনব পদ্ধতিতে সবুজ জ্বালানি তৈরিতে বিশেষ অবদান রেখে বিশ্বের নজর কাড়ছে থাইল্যান্ড।

পরিবেশবান্ধব সবুজ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে দেশটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অবস্থান একটি বাঁধের ওপর। সেখানে আছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনেরও ব্যবস্থা।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দিনের বেলায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে উৎপাদন করা হয় সৌরবিদ্যুৎ। এরপর রাতের বেলায় পানির স্রোতে টারবাইন ঘুরিয়ে উৎপাদিত হয় জলবিদ্যুৎ।

বিবিসি জানায়, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের সিরিনধোর্ন বাঁধের পানির ওপর স্থাপিত এই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রে আছে প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার সোলার প্যানেল। আয়তনে যা ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। এক বছর হলো উৎপাদনে আছে এই ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

শুধু সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই প্রতি ঘন্টায় উৎপাদিত হয় ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সোলার প্রজেক্টের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এখানে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন তারা। এ কারণেই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রটি মাটির ওপর স্থাপন না করে পানির ওপর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যবহৃত পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি টিকবে অন্তত ২৫ বছর।

এছাড়াও এই বাঁধের পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন এক বছরে ৪৭ হাজার টন কার্বন নির্গমন কমিয়েছে। এই পদক্ষেপটি থাইল্যান্ডের ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। তবে এখনও দেশটির ৭০ ভাগ বিদ্যুৎ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।

থাইল্যান্ড আরও ১৫ টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশই মিটাতে পারবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।

Link copied!