করোনাভাইরাসের শুরুটা চীনের উহান শহরে, ২০১৯ সালে। একজন দুজন করে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬৫ লাখ মানুষ। তবে চীনের বাইরে করোনার অভিঘাত কমতে থাকলেও, এখনো আক্রান্ত বাড়ছে উহান শহরে।
বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে চীনে। ফলে উহানসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে কোভিড বিধিনিষেধ দ্বিগুণ করেছে দেশটির সরকার। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য নতুন করে লকডাউনের তালিকায় পড়েছে উহান ও জিনিং শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা। ফলে আবারও গৃহবন্দী হলেন লাখ লাখ নাগরিক।
উহানে প্রতিদিন ২০-২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, গত ১৪ দিনে সেখানে ২৪০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে লকডাউনে থাকতে হবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শূকরের মাংস ও শাকসবজির মাধ্যমে ভাইরাসটি বেশি ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই উহান, জিনিং ও গুয়ানজু শহরের অনেক জায়গায় কেনাকাটা বন্ধ আছে এসব দোকানে।
জিনিং শহরের এক কর্মকর্তা জানান, “ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে কিছু সবজি ও ফলের দোকান বন্ধ করে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে।”
চীনে করোনার থাবা শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। ‘জিরো কোভিড’ নীতি প্রয়োগ করে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইতি টানতে চাইছে সরকার। তবে দীর্ঘদিনের এই প্রচেষ্টায় স্থবির হয়ে পড়ছে চীনের অর্থনীতি। বড় বড় কোম্পানিগুলো পণ্য উৎপাদনের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে। স্যামসাং, অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টরা ভিয়েতনামে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া সবচেয়ে অস্বস্তিতে আছে চীনের সাধারণ মানুষ। লকডাউনের অবসাদ আর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে এখন বিপর্যস্ত চীনের জনজীবন।
আপনার মতামত লিখুন :