পশু বিজ্ঞান জানে না, দর্শনও মানে না
মেঘ দেখে উদাস হয় না
বৃষ্টিতে ভিজে গানও গায় না
পশু গল্প পড়ে না, কবিতাও লেখে না
ছবি আঁকে না, ছবি তোলেও না।
পশু ফ্যাশন করে না, পোশাকই তো পরে না!
মানুষ আবার এসব দারুণ ভালো পারে
সেজন্য মানুষ খুব খুশি হয়ে প্রায়ই—
মানুষের শরীর ছিঁড়ে রক্ত চোষে,
মানুষের সম্পদ-জমি পেটে ঢোকায়
মানুষের প্রার্থনার ঘর ভেঙে চুরমার করে
আর মানুষকে দেখামাত্রই ধর্ষকামী হয়ে ওঠে।
কিন্তু এতো ভালো ভালো কাজ করার সময় মানুষ
হঠাৎ নিজের অনুভূতিতে কিভাবে যেন আঘাত পেয়ে বসে,
তখন সে কাঁদতে শুরু করে, আর কি আশ্চর্য
সেই কান্নার সময় তার ঠোঁটের দু’পাশ দিয়ে—
লম্বা ধারালো লাল দাঁত বেরিয়ে পড়ে
অদ্ভুত নাচের ভঙ্গিতে দুলতে দুলতে।
অতঃপর, কান্না শেষ না করেই মানুষ আবার
মানুষের শরীর ছিঁড়ে আরও রক্ত চুষতে থাকে
মানুষের সম্পদ-জমি বেশি করে পেটে ঢুকিয়ে নেয়
মানুষের প্রার্থনার ঘর দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আগুন ধরায়
আর মানুষকে দেখামাত্রই ধর্ষণ করে যেতে থাকে…
আচ্ছা, অন্য একটা মজার খবর দিই আপনাদের
‘মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব’—এই কৌতুকটা পশুমহলে ইদানীং
বেশ ভাইরাল হয়েছে!