• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

সৃষ্টিশীলতায় পারদর্শী হয় যে শিশুরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০২:৫৭ পিএম
সৃষ্টিশীলতায় পারদর্শী হয় যে শিশুরা

সন্তানের লেখাপড়ায় মন নেই। অন্য বাচ্চাদের তুলনায় লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়েছে- এমন অভিযোগ কম-বেশি সব বাবা মায়েরই থাকে। তবে সন্তান কেন পিছিয়ে পড়ছে সেই চিন্তা কি করেছেন? সন্তানের শারীরিক কোনও অসুবিধা রয়েছে কিনা তা ভেবে দেখেছেন। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, কখনও কখনও শিশুর অক্ষর চিনতে, শব্দ পড়তে এবং লিখতে সমস্যা হয়। এই কারণে হয়তো আপনার সন্তানও অন্য শিশুদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। এটিকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় লার্নিং ডিজঅর্ডার বলে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এটি ডিসলেক্সিয়া নামে পরিচিত। যা শিশুর মানসিক অবস্থাকে নির্দেশ করে। এই ধরণের শিশুদের তথ্য উপলব্ধি ও ব্যবহারের ক্ষমতা দুর্বল হয়। যা শিশুর পড়াশোনায় প্রভাব ফেলে। এমনকি বাধাগ্রস্ত হয় প্রতিদিনের কাজকর্মও। 

তবে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা অন্যদের তুলনায় বেশি সৃষ্টিশীল হয় বলে প্রমাণ মিলেছে গবেষণায়। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ জার্নালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, ডিসলেক্সিয়াকে মানসিকব্যাধি হিসাবে না দেখে বিশেষক্ষমতা হিসাবে দেখা উচিত। এসব শিশু বা ব্যক্তিরা আবিষ্কার, উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতাসহ নির্দিষ্ট কিছুক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকে। 

গবেষকরা আরও জানান, ডিসলেক্সিয়া রয়েছে এমন শিশুদের মধ্যে কৌতুহল বেশি থাকে। এরা অন্যদের তুলনায় বেশি অন্বেষণ এবং কৌতূহলী হয়। তাদের মধ্যে এই অনুসন্ধানমূলক আচরণ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। যেকোনও পরিবর্তনশীল পরিবেশে তারা মানিয়ে নিতে পারে। 

গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়, যেসব শিশুর মধ্যে এই রোগ আছে তাদের ‘ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপাসিটি’ তথা মানসিক ক্ষমতা গড় বা গড়ের চেয়েও বেশি হয়।

ডিসলেক্সিয়া নিরাময়ের নিশ্চিত কোনও চিকিৎসা নেই। এর উপসর্গগুলো চিহ্নিত করেই এই রোগকে নির্ণয় করা যাবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মনোবিদের পরামর্শে থাকা জরুরি। 

ডিসলেক্সিয়া শিশুদের যত্নে অভিভাবকে কী করা উচিত এই বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকর। তাদের মতে, এসব শিশুরা যে কাজে আগ্রহী থাকে সেই কাজেই উৎসাহ দেওয়া উচিদ। পারদর্শী কাজে উৎসাহ পেলে শিশুরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারে।

 

সূত্র: ব্রেইন ফেক্ট

Link copied!