আটা শর্করা জাতীয় খাবার। এটি তৈরিতে গমের বীজের সঙ্গে তার খোসা পিষে ফেলা হয়। লাল আটায় ক্যালরির পরিমাণ কম হলেও আঁশের পরিমাণ বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে, সাদা আটার তুলনায় লাল আটা বেশি পুষ্টিকর। ইউনাইটেড হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ডা. চৌধুরী তাসনিম হাসিন জানাচ্ছেন সেই তথ্য।
সুস্বাস্থ্যের জন্য লাল আটা :
১. লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
২. লাল আটায় রয়েছে লিগনান নামক উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩. লাল আটা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. লাল আটা মানবদেহের ক্ষতিকর ফ্যাট কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. ভিটামিনের পাশাপাশি লাল আটায় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
৬. লাল আটা হজম হতে সময় লাগে, তাই ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।
৩৮ গ্রাম সাদা আটা ও লাল আটার মধ্যে পুষ্টিগুণ :
- সাদা আটা : ক্যালরি– ৮৭ কি. ক্যালরি; ফ্যাট- ৭ গ্রাম; কার্বোহাইড্রেট- ৬.০ গ্রাম; খাদ্য আঁশ- ১.৫ গ্রাম; প্রোটিন- ৩.৪ গ্রাম।
- লাল আটা : ক্যালরি – ২৮ কি. ক্যালরি; ফ্যাট- ২.৫ গ্রাম; কার্বোহাইড্রেট- ৯.১ গ্রাম; খাদ্য আঁশ- ২.৮ গ্রাম; প্রোটিন- ৫.৫ গ্রাম।
এবার দেখুন, সাদা আটার তুলনায় লাল আটাতে ক্যালরি ও ফ্যাট কম। অপরদিকে খাদ্য আঁশ ও প্রোটিন দু’টোই বেশি। ভিটামিন এবং মিনারেল সাদা আটার তুলনায় লাল আটাতে বেশি। পরিশোধিত করার কারণে সাদা আটাতে ১৪ রকমের ভিটামিন এবং ১০ রকমের খনিজের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সাদা আটা খেতে হয়তো সুস্বাদু। কিন্তু ভিটামিন ও খনিজ বেশি মিলবে লাল আটায়। সিদ্ধান্ত এখন আপনার, আটা সাদা নাকি লালটা খাবেন?
আপনার মতামত লিখুন :