শীতের বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও। আবহাওয়া এখন খুবই স্পর্শকাতর। শীতজনিত যেকোনো রোগই এখন ঘিরে ধরতে পারে। যেকোনও রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করা গেলে বড়ো সড়ো বিপদ এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে যথাযথ চিকিৎসাও শুরু করা যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগ ধরা যায় না। চিকিৎসায়ও দেরি হয়ে যায়। রোগের পরিণতিও খারাপের দিকে যায়।
কোন রোগের কী লক্ষণ, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। হাঁপানি বা অ্যাজমাও তেমনই একটি রোগ। যার সঠিক উপসর্গ বুঝতে হবে। হাঁপানি রোগে শ্বাসকষ্ট হলেও তাতে আরও উপসর্গ বিদ্যমান। তাই হাঁপানিকে সাধারণ শ্বাসকষ্ট ভেবে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। হাঁপানি বা অ্যাজমার বা হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী হতে পারে তা জানাব এই আয়োজনে_
শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্ট হলো হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি। হাঁপানি রোগে শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করেই বাড়ে। যখন শ্বাসনালী স্ফীত এবং সংকীর্ণ হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল হয় না। ধীরে ধীরে তা বেড়ে যায়।
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
হাঁপানির কারণে শ্বাসকষ্ট হলে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সময় ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন। এক্ষেত্রে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময়, সাঁসাঁ শব্দও শোনা যায়।
হুইজিং
হাঁপানি রোগে শ্বাস টান উঠে। প্রদাহের কারণে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সাঁসাঁ করে আওয়াজ বের হয়।
কাশি
হাঁপানি রোগে প্রচণ্ড কাশিও হয়। ধুলো-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার মতো বিরক্তিকর উপাদানগুলো থেকে কাশি বাড়ে। এটিই হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। যখন এই মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে, তখনই জ্বালা এবং প্রদাহ হয়। তাছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা কাশির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে বাতাস বের করে দিতে মস্তিষ্ককে সংকেত দেয়।
বুকে চাপ অনুভব করা
হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়, ফলে শারীরিক অস্বস্তি বোধ হয়। এতে বুকের মধ্যেও টান বাড়ে। বুকে চাপ অনুভূত হয়। বুক ফুলে উঠতে পারে। বুক থেকে বাতাস বের হয়ে যেতে পারে।
কফ-ভ্যারিয়েন্ট
তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকলে অ্যাজমা সম্পর্কিত কাশি সহজে দূর হতে চায় না। হাঁপানির কারণে হওয়া গুরুতর কাশির সমস্যাকে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা বলা হয়।
অন্যান্য় উপসর্গ
হাঁপানি রোগীর কথা বলতে কষ্ট হয়। উদ্বিগ্ন কিংবা অস্থির হয়ে ওঠে। অত্যাধিক ঘাম হতে পারে, এমনকি ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।