• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাতাসে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
বাতাসে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন!

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণের আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। এই ধরন নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। কেননা প্রতিদিনই রূপ পাল্টাচ্ছে ওমিক্রন। কোনো উপসর্গ ছাড়াই মরণব্যাধি এই ধরনটি শরীরে বাসা বাধে। এরমধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে আরেকটি তথ্য। ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।

বিবিসি জানায়, সম্প্রতি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত ওমিক্রন ছড়াচ্ছে।

ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ নামে এক জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, একটি হোটেলের দুটি পৃথক ঘরে থাকা সত্ত্বেও ওমিক্রন সংক্রমিত হয়েছেন দুই ব্যক্তি। ভ্য়াকসিন  নেওয়ার পরও কোয়ারেন্টাইনে হোটেলে ছিলেন তারা। ওই সেন্টারে একটি করিডোরের দুই প্রান্তের দুইটি রুমে ছিলেন। কিন্তু এরপরও তাদের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ক্লোজ সার্কিট টিভিতে দেখা যায়, আক্রান্ত দুই ব্যক্তিই নিজেদের রুম থেকে একবারও বের হননি। অন্য কারও সংস্পর্শেও আসেননি। এরা কঠোর বিধিনিষেধ মেনেও চলেছেন।

সমীক্ষায় উঠে আসে, এক রোগী ১৩ নভেম্বর ওমিক্রন পজিটিভ হয়েছেন। কিন্তু কোনও উপসর্গ ছিল না। অন্যজনের মধ্য়ে মৃদু উপসর্গ দেখা যায় ১৭ নভেম্বর। পরীক্ষায় তার দেহে ওমিক্রন ধরা পড়ে।

কেউ কারও সংস্পর্শে না এসেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, করোনা নতুন ধরন ওমিক্রন বাতাসেই ছড়িয়েছে।

বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য় রুমের দরজা খোলা হতো বা খাবার দেওয়া হতো তখনই ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ কোয়ারেন্টাই সেন্টারে সবাই দূরত্বে রয়েছেন। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও রয়েছে। একমাত্র বাতাসেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

গত ১১ নভেম্বর বত্সোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনের সন্ধান মেলে। ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়। এই ধরনটি নিয়ে প্রতিনিয়তই গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

Link copied!