অধিকাংশ নারীরই এখন সাধারণ সমস্যা থাইরয়েড। এই রোগ হলে শরীরে অন্য রোগেরও সূত্রপাত হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এই রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হতে পারে ডাব বা নারকেল। যেকোনো ভাবেই খাবারের মাধ্যমে ডাব বা নারকেল গ্রহণ করলেই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
থাইরয়েড হলো মানবদেহের একটি গ্রন্থি। যা গলার সামনের দিকে অবস্থান করে। এই গ্রন্থি দিয়ে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসৃত হয়। যা বিপাকসহ আরো শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখে। এই হরমোন তৈরির হতে এই গ্রন্থিটির প্রয়োজনীয় পরিমাণে আয়োডিনের দরকার হয়। শরীরে যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে কম কিংবা বেশি পরিমাণে এই হরমোন তৈরি হলেই দেখা দেয় সমস্যা। তখনই থাইরয়েড সমস্যা চড়াও হয়ে উঠে। বিভিন্ন চিকিত্সায় সেই হরমোনকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থির এই হরমোন নিয়ন্ত্রণেই কাজ করে নারকেল। বিশেষজ্ঞরা জানান, থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার এক এবং অদ্বিতীয় উপায় হতে পারে এই নারকেল। তাদের মতে_
রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়া খালি পেটে নারকেল তেল খেলেও উপকার পাওয়া যায়। যেসব রোগীর হাইপারথাইরডিসম রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ ভালো কাজ দেয়।
নারকেল তেল শারীরিক মেটাবোলিজমের ঘাটতিও পূরণ করে। শরীরের প্রদাহের মাত্রা সঠিক রাখে। সেই সঙ্গে শরীরের বাড়তি চর্বিও গলাবে। নারকেল তেল নিয়মিত সেবনে লিভারও ভালো থাকে। এটি সহজেই হজম হয়। তাই থাইরয়েডও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নারকেলের তেলের মতো এর পানিও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখবে। নারকেলের পানি যদি আপনার শরীরে সহ্য হয় তাহলে এটি নিয়মিত পান করতে পারেন। এটি গলায় আরাম দিবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার অন্তত নারকেল পানি পান করুন। অনেকেরই নারকেলের পানি খেলে ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই সহ্য না হলে না খাওয়াই ভালো।
থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে পান করতে পারেন নারকেলের দুধও। নারকেল কুড়িয়ে তা থেকে চেপে দুধ বের করে নিন। এবার তা পান করুন। এছাড়াও সাধারণ দুধের সঙ্গে নারকেল বাঁটা মিশিয়েও নিতে পারেন। এটি পান করলে থাইরয়েড গ্রন্থি সচল থাকে। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। নিয়মিত পারে উপকার পাবেন।
সূত্র: হেলথ জোন