করোনাভাইরাসের মহামারিতে তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা বাড়িয়ে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর তালিকাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এরইমধ্যে নতুন আতঙ্ক নিয়ে এসেছে করোনার আরও একটি ধরন। নতুন এই ধরনের নাম ডেলমিক্রন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে রূপে আবারও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ওমিক্রনে পর আরও একটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। এটিও বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেলমিক্রন। যা ইতোমধ্যে আমেরিকা এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
বিবিসি জানায়, ভাইরাসের নতুন প্রজাতি আরও কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক হতে চলেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিলিত রূপই হচ্ছে ডেলমিক্রন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আলফা বা বিটার মতো আলাদা কোনও রূপ নয়। কোভিডের দুই রূপ ডেল্টা এবং ওমিক্রন— একসঙ্গে ভয়াবহভাবে ছড়াচ্ছে। তাই যুগ্মভাবে এর নামকরণ করা হয়েছে ডেলমিক্রন।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. শশাঙ্ক যোশী বলেন, 'ধারনা করা হচ্ছে, ডেল্টা এবং ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাস মিলিত হয়েই ডেলমিক্রনের উৎপত্তি হয়েছে। ইউরোপে ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়েছে। বলা যায়, ডেলমিক্রন সংক্রমণের মাত্রা সুনামি আকারে আছড়ে পড়ছে।'
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনও সতর্ক বার্তা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও অনুমোদিত করোনাভাইরাসে টিকা নতুন ভ্যারিয়েন্ট রোধে কতটা কার্যকরী তা এখনও সুস্পষ্টভাবে জানায়নি সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ধরন প্রতিনিয়তই পাল্টে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গবেষণায় চূড়ান্তভাবে ফলাফলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে বুস্টার ডোজ ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতা কমাবে।
তবে সংস্থাটির ডিরেক্টর তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, 'বুস্টার ডোজের উপর গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে দুই ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে হবে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যেই ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতায় আনা প্রয়োজন।'
ডেলমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, তীব্র জ্বর, টানা কাশি, স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া বা কমে যাওয়া, মাথাব্যথা, সর্দি, গলা খুসখুস প্রধান উপসর্গ হতে পারে।
বাংলাদেশে ওমিক্রন শনাক্ত হলেও ডেলমিক্রন ছড়িয়ে পড়বে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে যেকোনো ধরন থেকে নিরাপদে থাকা যাবে।