শীতকালে একটু অবহেলাতেই ঠান্ডা লেগে যায়। ঠান্ডা থেকে জ্বর হয়। সেই জ্বর নিয়েই থাকে শঙ্কা। কারণ এখন জ্বর মানেই ধরে নেওয়া হয় করোনায় আক্রান্ত। অথচ সেটি সাধারণ জ্বরও হতে পারে কিংবা হতে পারে সাধারণ ঠান্ডা। কিন্তু বোঝায় উপায় কী? করোনা আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গও এখন সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তাই উপযুক্ত চিকিৎসা শুরুর আগেই নাজেহাল হয়ে যায় রোগীর অবস্থা।
দেশজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে শীতের ঠান্ডাই এখন সবার আতঙ্ক। করোনার সঙ্গে শীতের সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর থেকে হতে পারে ফ্লুয়ের প্রকোপ। তবে করোনার শঙ্কাও বাদ দেওয়া যাবে না। যেকোনো রোগকেই আলাদা করতে রোগীর মধ্যে কিছু উপসর্গকে খেয়াল করতে হবে।
সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সাধারন ফ্লু না করোনা তা বোঝার ক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে থাকা কিছু লক্ষণকে খেয়াল করুন। পর্যবেক্ষন করেই বোঝা যাবে মূলত কোন অসুখে ভুগছেন রোগী_
শীতকালে সাধারণ ঠান্ডা লাগলে বোঝা যাবে যেসব উপসর্গে_
- সাধারণ ঠান্ডা লাগালে নাক থেকে পানি পড়বে।
- কাশির সমস্যাও থাকে।
- গলায় ব্যথা থাকবে।
- গলা ভেঙে কণ্ঠস্বর কমে যেতে পারে।
- শরীরে হালকা ব্যথা অনুভব হতে পারে।
- মাথায়ও হালকা ব্যথা থাকতে পারে।
- হাঁচির সমস্যা থাকবে।
- হালকা জ্বর থাকবে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় শ্বাসের সমস্যাও দেখা যাবে।
সাধারণ ফ্লু হলে রোগীর মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যাবে_
- স্বাভাবিকের কিছুটা বেশি জ্বর থাকবে।
- খুব ঠান্ডা লাগবে।
- নাক থেকে অনবরত পানি পড়ে।
- সর্দি, কাশি ও গলায় ব্যথাও থাকবে।
- শরীরে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণাও থাকতে পারে।
- ক্লান্তিভাব বা অলসভাব হবে।
- ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা যাবে।
করোনায় আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যাবে_
- করোনায় আক্রান্ত রোগীর জ্বর থাকবে।
- জ্বরের সঙ্গে কাশি, সর্দি, ক্লান্তিভাব থাকবে।
- স্বাদ ও ঘ্রানশক্তি চলে যায়।
- গলায় ব্যথা থাকবে।
- বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
- মাথার যন্ত্রণা অনুভূত হবে।
- সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হবে।
- ডায়রিয়ার লক্ষণও থাকবে।
- ত্বকের সমস্যা হতে পারে। ইনফেকশন, চুলকানি, ত্বক অ্যালার্জি হতে পারে।
- শ্বাস নেওয়ার সমস্যাও হতে পারে।
- মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে কথা বলার ইচ্ছাশক্তিও থাকে না।
রোগীর করণীয়_
বিশেষজ্ঞরা জানান, তিনটি রোগেরই লক্ষণ প্রায় একই। পরীক্ষা না করে রোগীর চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই জ্বর বা ঠান্ডা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগী দুর্বল হওয়ার আগেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে তাকে সুস্থ করতে হবে। তবে যেকোনো লক্ষণেই অবশ্যই রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
সূত্র: হেলথ জোন