ওমিক্রন আতঙ্ক বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। শঙ্কার অন্যতম কারণ এর উপসর্গ। যা নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছে বিশ্ব। শুরুতে গবেষকরা বলেছেন, ওমিক্রনের উপসর্গ খুবই হালকা, কিন্তু দ্রুত ছড়ায়। তবে এবার গবেষণায় বিজ্ঞানীরা নতুন পথের সন্ধান দিলেন।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণায় এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের কয়েকটি উপসর্গ চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হলো-জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তি, গলাব্যথা।
খুব সাধারণ উপসর্গেই ওমিক্রনের লক্ষণ বোঝা যাবে। বিজ্ঞানীরা জানান, করোনা অন্য ভ্যারিয়েন্টে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ কমে যায়। কিন্তু ওমিক্রনের কারণে এই সমস্যা ততটা হয় না।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কয়েক জন চিকিৎসক ওমিক্রনের আরও একটি উপসর্গকে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, এই উপসর্গ ওমিক্রন সংক্রমণ চিনতে সাহায্য করবে।
গবেষকরা জানান, ওমিক্রনের সঙ্গে অন্য একটি জীবাণুর সংক্রমণের মিল রয়েছে। এটির নাম প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা। এই জীবাণুটির সংক্রমণ হলে রাতে ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ঘাম হয়। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও তাই। শতাধিক ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।অধিকাংশের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, ওমিক্রনের অন্যতম লক্ষণ এটিই। তবে ইতোমধ্যেই ওমিক্রনের ৩৭টি মিউটেশন ঘটেছে। সেই কারণেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানান, এই ৩৭ রকমের ওমিক্রনের বেশিরভাগই আক্রান্ত রোগীদের রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম হচ্ছে। এমন উপসর্গ থাকলেই সতর্ক হতে হবে। এই লক্ষণটার দিকেই বেশি নজর রাখতে হবে।
এদিকে ওমিক্রন নিয়ে নানা গবেষণা হচ্ছে। একদল গবেষকের দাবি, এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়ালেও তা ততটা ভয়ঙ্কর নয়। এর ভয়াবহতা করোনার অন্য রূপগুলোর তুলনায় কম।