পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুম একটি ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ। মাশরুমে ২৫-৩০ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে যা অত্যন্ত কার্যকরি।এ ছাড়া মাশরুম বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। মাশরুমের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি যে সব ঔষধিগুণ পাওয়া যায় চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে শরীরে অনেক রোগ দেখা দেয়। ভিটামিন ডি খুব কম শাকসবজিতিই পাওয়া যায়। আর তাই প্রতিদিন মাশরুম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র ঘাটটি পূরণ হয়।
সেলেনিয়াম
শরীরে সেলেনিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। মাশরুম শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে কার্যকর
মাশরুমে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ৫টি সাদা মাশরুমে মাত্র ২০ ক্যালোরি রয়েছে। মাশরুম খেলে পেট ভরা থাকে এবং দ্রুত ক্ষুধা পায় না। ফলে জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। মাশরুম ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং বার্ধক্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
হার্ট ভালো রাখে
মাশরুমের কিছু থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। মাশরুমে পুষ্টি এবং উদ্ভিদের উপাদান রয়েছে যা রক্তনালীর দেয়ালে লেগে থাকা ফ্যাট জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে রক্তচাপ এবং সঞ্চালন ঠিক মতো হয়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
মাংসের দুর্দান্ত বিকল্প হলো একটি মাশরুম। মাশরুমে ক্যালোরি কম এবং পানির পরিমাণ বেশি। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা অনুভব করতে দেয় না।
চুল-ত্বকে দুটোর জন্য উপকারী
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। মাশরুমের মতো তামা সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বকে কোলাজেন তৈরি হয়, যা তারুণ্য ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
বিটা-গ্লুকান এক ধরনের ফাইবার যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সেলেনিয়াম থাকার কারণে মাশরুম খেলে আপনার ইমিউন সিস্টেম আরও শক্তিশালী হবে।