• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম
ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন?

বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শীতের মৌসুম চলে এসেছে। তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রভাব। বরং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে ডুঙ্গির প্রকোপ। মশাবাহী এই রোগাটিতে এখন মৃত্যুর শঙ্কাও বেড়েছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা করেও যেন উপায় মিলছে না। কোনোভাবেই ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুসহ সব বয়সীরা। 

ডেঙ্গু জ্বরে অনেকেরই প্লাটিলেট কমে যায়। এই রোগের ভয়াবহতায় এটিই মূল দিক। আবার প্লাটিলেট ঠিক থাকলেই যে রোগী ভালো থাকবে তা-ও কিন্তু নয়। তবে প্লাটিলেট ১০ হাজারের ওপরে থাকা নিরাপদ। প্লাটিলেট ঠিক থাকলে এবং অ্যাক্টিভ ব্লিডিং না হলে রোগীকে নিয়ে শঙ্কা থাকে না।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু জ্বর হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। আর এই সময় প্লাটিলেট কমে গেলে উপসর্গগুলো আরও তীব্র হয়। প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণগুলো জেনে এর দ্রুত  চিকিৎসা করতে হবে। এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে_

  • শরীরের যেকোনো অঙ্গ বা স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। এটি পিনপয়েন্টের আকারে দেখা দেয়। 
  • প্লাটিলেট কমে গেলে ত্বকে বেগুনি রঙের চিহ্ন দেখা যায়। কারণ, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়।
  • নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হবে।
  • মাড়ি কিংবা নাক দিয়েও রক্তপাত হতে পারে।
  • প্রস্রাব বা মলের সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে।
  • শরীরের কোনো অংশে কাটাছেঁড়া হলে সেখানে রক্তপাত বেড়ে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের রক্তনালি আক্রান্ত হয়। রক্তনালির গায়ে ছোট ছিদ্রগুলো বড় হয়ে যায়। সেই ছিদ্র দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। ফলে রক্তচাপ কমতে থাকে এবংহেমাটোক্রিট বা পিসিভি বা প্যাকড সেল ভলিউম বাড়তে থাকে। রক্তকণিকার সবচেয়ে ছোট কণিকাটি হলো প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যা কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। আবার প্লাটিলেট বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। যা থেকে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে।

এই সময় রোগীকে পর্যাপ্ত ফ্লুইড বা তরল খাবার দেওয়া উচিত। তরল মুখে খাওয়ানো যেতে পারে বা শিরায় দেওয়া যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

 

Link copied!