• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিশুদের নাকে কিছু ঢুকে গেলে কী করবেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৪:৩১ পিএম
শিশুদের নাকে কিছু ঢুকে গেলে কী করবেন?

শিশুরা সহজাতভাবেই নাকের মধ্যে, কানের মধ্যে এটা-সেটা ঢোকাতে পারে। নাক, কান ও গলায় বাইরের কোনো জিনিস ঢুকে গেলে সেই জিনিসটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ফরেন বডি।

যেসব জিনিস শিশুরা নাকে ঢোকায়

ছোলা, মটর, বাদাম, শিমের বিচি, তেঁতুল বিচি, পাতার অংশ, ধান। পুঁতি ছোট পাথরের টুকরা, বোতাম, ব্যাটারি, শার্টের বোতাম, কাগজ, মুড়ি, টিস্যু পেপার, পেনসিলের ইরেজার রাবার, ফোমের খণ্ড ইত্যাদি অনেক কিছুই নাকে ঢোকাতে পারে শিশুরা। জীবিত কীটপতঙ্গের মধ্যে মশা-মাছি, উকুন ইত্যাদি ঢুকতে পারে।

প্রতিক্রিয়া

  • নাকের মধ্যে কোনো কিছু ঢোকানোর ঘটনা সাধারণত শিশুদের মধ্যেই দেখা যায়। এ কারণে কোনো শিশুর নাক দিয়ে দুর্গন্ধ-শ্লেষ্মা ঝরলে প্রথমেই তার কারণ হিসেবে নাকের মধ্যে বাইরের কিছু ঢুকেছে কি না, সেটা দেখা উচিত।
  • শিশুরা খেলাচ্ছলে কিংবা অবসরে হাতের কাছে এ ধরনের বস্তু পেলেই নাসারন্ধ্র দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়।
  • নাকের মধ্যে শরীরের অংশ নয় এমন কিছু ঢুকলে তার বাইরে শ্লেষ্মা জড়িয়ে নাকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেখানে জীবাণু বাসা বাঁধার কারণে সংক্রমণ হয়। তখন নাক থেকে একই সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বেরিয়ে আসে।
  • অনেক সময় এসব জিনিস নাকের ভেতরের নিঃসরণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে পাথরের সৃষ্টি করে, যাকে বলা হয় রাইনালিথ বা নাকের পাথর। তবে এর বাইরে নাকে আঘাত কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে নাকের মধ্যে বাইরের বস্তু নাক ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে থাকতে পারে।

কিছু ঢুকলে বোঝা যায় 

  • সাধারণত অভিভাবকরাই প্রথমে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চিকিৎসকের কাছে আসেন।
  • অনেক সময় শিশু নিজেই বিষয়টি বাবা-মাকে বলে থাকে।
  • নাকের একদিক দিয়ে ছিদ্র বন্ধ হয়ে থাকলে।
  • বন্ধ নাক দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত শ্লেষ্মা বেরিয়ে এলে।
  • নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে।
  • নাকের মধ্যে বাইরের কোনো বস্তু ঢুকলেই নাকে ব্যথা হতে পারে।
  • নাকের মধ্যে বাইরের কোনো বস্তু ঢোকার কারণে নাকে হাঁচি হতে পারে।
  • শিশুর আশপাশের মেঝেতে নাকের ভেতর ঢোকাতে পারে সে রকম আরও কিছু জিনিসের উপস্থিতি মিলবে।


চিকিৎসা 
নাকে কোনো কিছু ঢুকলে প্রথমে কাজ হবে সেটিকে নাক থেকে বের করে আনা। নাক থেকে বাইরের জিনিসটিকে বের করার জন্য অনেক সময় শিশুটিকে অজ্ঞান করার দরকার হয়। কখনো কখনো অচেতন না করেই বের করা যায়। তবে এটি বের করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসকের দরকার হয়।

নাকের এসব জিনিস বের করার জন্য দেরি করা উচিত নয়। দেরি করলে ঘুমের মধ্যে কিংবা অন্য সময়ে নাক থেকে বস্তুটি ফসকে শ্বাসনালিতে গিয়ে অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

Link copied!