• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫

গরমে স্বস্তি দেবে এই ৮ খাবার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
গরমে স্বস্তি দেবে এই ৮ খাবার

চারদিকে প্রচণ্ড গরম। ক্লান্তিতে কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। গরমে হাঁসফাঁস করেন অনেকে। এই গরমে তৃপ্তি এনে দিতে পারে কিছু খাবার। এসব খাবার যেমন পুষ্টিকর, গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। এ ধরনের সহজলভ্য কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন—

পুদিনাপাতা
ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে পুদিনাপাতা। পুদিনাপাতার ইংরেজি নাম মিন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’ দ্বারা পরিপূর্ণ পুদিনাপাতা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি উপকরণ, যা অতিরিক্ত গরমে ত্বকের ক্ষতি দূর করে। গরমের ঘাম জমে যে ঠান্ডা লেগে যায়, তা প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া বয়সের ছাপ কমিয়ে আনে। ত্বক ও চুলকে সতেজ রাখে। অতিরিক্ত গরমে ছোট-বড় প্রায় সবারই বদহজমের সমস্যা দেখা যায়। এই পাতা পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। 
কলা 
খাদ্যতালিকায় কলা কমবেশি সবারই থাকে। উপাদেয়, সস্তা, সারা বছর মেলে—এমন সবজি বা ফলের মধ্যে কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’র গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কলা। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, লৌহ ও অন্য কিছু খনিজ উপাদান। কলা পাকা বা কাঁচা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। অতিরিক্ত ঘামের শরীর থেকে যে তরল বের হয়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। গরমের সময় কলা খেতে পারেন। এ ছাড়া পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে সবুজ শাকসবজি, শুষ্ক ফল ও শস্য।
তরমুজ 
তরমুজ গরমেরই ফল। তরমুজে রয়েছ শতকরা ৯১ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এতে রয়েছে ক্যানসারপ্রতিরোধী উপাদান লাইকোপেন। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণে সমৃদ্ধ এই ফল গরমে স্বস্তি দেয়।

টমেটো 
টমেটোতে রয়েছ শতকরা ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এ ছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, লাইকোপেন, ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকে। টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই সুস্বাদু। এছাড়া রান্নার পরও টমেটোর পুষ্টিগুণ কমে না। তাই গরমের সময় টমেটো খাওয়া ভালো।

শসা 
শসায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ পানি। এই গরমে শসার সালাদ রাখুন প্রতিবেলায়। শসার সঙ্গে ধনেপাতা মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি ননিবিহীন দুধের তৈরি দই, পুদিনাপাতা আর বরফ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে পারেন। এই জুস আপনার শরীর সতেজ রাখবে এবং তৃষ্ণাও মেটাবে।

ঘৃতকুমারী
এই উদ্ভিদ খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর, তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য। ঘৃতকুমারীর রস পান করে, সালাদ হিসেবে খেয়ে এবং ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে গরমে দারুণ উপকৃত হতে পারেন।

পেঁয়াজ 
গরমে হিট র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। পেঁয়াজ এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ফাইটোকেমিক্যালস নামের একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে পেঁয়াজে, যা শরীরে ভিটামিন- সি এর কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ত্বক ভালো রাখতে বেশি করে খাবারে পেঁয়াজ রাখা উচিত।

লাল মরিচ 
পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, ঝালযুক্ত খাবার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে বেশি ঘাম সৃষ্টি করে। ঘাম শুকালে তখন শরীর ঠান্ডা হয়। লাল মরিচে যে ক্যাপসিসিন থাকে, তা শরীরের তাপমাত্রা না বাড়িয়ে বেশি ঘাম সৃষ্টি করে। প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে মৃত্যুর হার হ্রাস করে। হৃদ্‌রোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও ১৩ শতাংশ কমে যায়। যারা নিয়মিত লাল মরিচ খান, তাদের কোলেস্টেরল কম থাকে।

 

Link copied!