• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

গরমে জাম খেলে আরাম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০২:১০ পিএম
গরমে জাম খেলে আরাম

গরমকালের বাজারে ফলের অভাব থাকে না। তবে এই মৌসুমে জামের কদরও নেহায়েত কম নয়। জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে। চিকিৎসকদের মতে, শরীর সুস্থ রাখতে সবসময় ভরসা রাখা উচিত মৌসুমি ফলের ওপর।

  • গরমে রক্ত পরিশোধনকারী হিসাবে কাজ করে জাম। নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে জাম। রক্ত থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ শোষণ করে রক্ত পরিষ্কার রাখে। রক্ত পরিষ্কার থাকলে ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ত্বক সুস্থ থাকে। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে জাম।
  • জামে থাকা ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। দীর্ঘদিন ধরে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, সুস্থ থাকতে তারা ভরসা রাখতে পারেন জামে।
  • ফল খাওয়ার পর এমনিতেই পানি খেতে বারণ করা হয়। তেষ্টা পেলেও জাম খেয়ে কখনও পানি খাবেন না। নইলে ডায়েরিয়া ও বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। জাম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পরে পানি খান।
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্যেও জাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে জামের বীজ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। তবে এই সুফলগুলো পেতে হলে জাম খাওয়ার সময় এবং পরে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। সেগুলি কী কী?
  • যাদের উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়মিত জাম খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ জাম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক বা মানসিক চাপের আশঙ্কা হ্রাস করে।
  • খালি পেটে জাম না খাওয়া ভালো। এতে বদহজম, অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • জাম খাওয়ার পর দুধ, পনির, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • জাম এবং হলুদ খুবই মারাত্মক জুড়ি। এই দুটো জিনিস কখনো একসঙ্গে খাবেন না। জাম খাওয়ার পর তাই হলুদ দিয়ে তৈরি কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো।

জাম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আচারজাতীয় কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো।

Link copied!