• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

স্ট্রেস মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০১:০৯ পিএম
স্ট্রেস মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায়

স্ট্রেস মার্ক হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার । পেটের বৃদ্ধির জন্য জায়গা তৈরি করতে জরায়ু বড় হতে থাকে এবং এতে পেটের চারপাশের ত্বক প্রসারিত হয়। এরকম প্রসারণের ফলে ত্বকে ফাটল সৃষ্টি হলে সেখানে এক ধরনের সাদা দাগ তৈরি হয় এবং ত্বকের কোলাজেন ফাটলকে পূর্ণ করতে পারে না। যার ফলে লম্বা দাগের সৃষ্টি হয়ে যায়। কিছু হরমোন থাকে যেটা টান পড়লেও যেন ফেটে না যায় তার জন্য কাজ করে। শরীরে সেসব হরমোনের উৎপাদন কম থাকলেও এইসব দাগ হয়ে থাকে।

শিশু জন্মের আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
শিশু গর্ভে বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে পেটের চারপাশে  চাপ পড়ে বলে জায়গাগুলোতে স্ট্রেচ মার্ক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। যেখানে স্ট্রেস হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন স্থানগুলোতে আস্তে আস্তে মালিশ করুন দিনে দুইবার।

করণীয়

  • গর্ভবতী থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ খাবারের তালিকায় থাকতে হবে শস্যদানাযুক্ত খাবার, মাছ এবং বিভিন্ন সবজি। যেমন ব্রোকলি, গাজর এবং ভিটামিন- ই ও সি যুক্ত খাবার। তাছাড়া চিনিবিহীন চা এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে৷
  • নিয়মিত হাঁটাচলা করলে শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে ত্বক দাগ হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। ‘ইয়োগা’ বা যোগ ব্যায়ামের মতো হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। তবে মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে সাঁতার কাটা।
  • প্রথমে ঠান্ডা, পরে গরম, আবার ঠান্ডা, এভাবে গোসল করলে ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন ভালোভাবে হয়। গর্ভধারণের শুরু থেকেই এইভাবে করা উচিত। প্রতিদিনই গোসল করার সময় পেট, নিতম্ব, ঊরু ও স্তনে আলাদা আলাদাভাবে ঠান্ডা-গরম-ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হবে । মনে রাখতে হবে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়েই গোসল শেষ করতে হবে। গোসলের সময় শরীর হালকাভাবে মাসাজ করলে ত্বকে দাগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে৷

তেলের মাসাজ 
জার্মান ফার্মাসিস্ট তানিয়া ফ্রানৎস বলছেন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিন দুই বেলা সুগন্ধি বা রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া তৈরি বাদাম তেল মালিশ করা হয় পেটে এবং পেটের চারপাশে। কারণ বাদাম তেল ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর রাখে৷

ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে
হাতে তেল নিয়ে খুব ধীরে ধীরে প্রথমে নাভি থেকে শুরু করে পেটের চারিদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। কোনোভাবে যেন পেটে চাপ না লাগে। কিছুক্ষণ পর শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনি দিয়ে খুব নরমভাবে নাভি থেকে ওপরের দিকে ঘোরাতে হবে। এভাবে নিয়মিত যত্ন নিলে শতভাগ না হলেও পেট অনেকটাই দাগমুক্ত রাখা সম্ভব৷

Link copied!