• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বারবার প্রস্রাব কিসের সংকেত?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০৪:০০ পিএম
বারবার প্রস্রাব কিসের সংকেত?

একটু পানি পান করলেই বা অকারণেই বারবার প্রস্রাব পাচ্ছে কিংবা একটু পেটে চাপ পড়লেই প্রস্রাব পড়ে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মূত্রথলির অসুখেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের  ইউরোলজিস্ট  ডা. অরিন্দম দত্ত।

ডা. অরিন্দম দত্ত বলেন, শুরুতে এটাকে গুরুত্ব দেন না রোগীরা। ধীরে ধীরে এ  সমস্যা বাড়তে শুরু করে। পড়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার।

ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার মানে হচ্ছে মানুষের ব্লাডার বা মূত্রথলির পেশি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। তখন এটি প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করে। এতে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকে। অনেকের মূত্রথলি থেকে মূত্র লিকও হতে পারে।

ডা. অরিন্দম দত্ত বলছেন, নারী- পুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা হতে পারে। যেসব নারীদের মেনোপজ হয়ে গিয়েছে এবং যেসব পুরুষদের প্রস্টেটের অসুখ রয়েছে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

এই রোগের লক্ষণ থাকলে কী করতে হয়, জানিয়ে ডা. অরিন্দম দত্ত বলছেন, “ইউরিন কালচার, ব্লাডার ক্ল্যান, সিস্টোস্কোপি, ইউরো ডায়নামিক টেস্টি করে ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার রোগ নির্ণয় করা যায়।“

মূত্রথলির এই সমস্যার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা জানিয়ে ডা. অরিন্দম দত্ত বলছেন, “ একটি কারণ নয়, বরং  একাধিক কারণ থাকতে পারে।“ তিনি জানান_

  • ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন মানে মূত্রথলিতে বা কিডনিতে ইনফেকশন হলে এটা হতে পারে।
  • আউটফ্লো অবস্ট্রাকশন হলেও  বারবার প্রস্রাব হতে পারে। বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন হয়। প্রস্টেটের সমস্যা থেকে ব্লাডারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • নিউরো বা স্নায়ুজনিত সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের এমনটা হতে পারে।  পারকিনসনস ডিজিজ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের সমস্যা রয়েছে অথবা স্ট্রোকের রোগীদের ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডারের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ওষুধ সেবেন এমনটা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টানা খেলে এমনটা হতে পারে।
  • যারা অনেক বেশি মদ্যপান করেন কিংবা কফি পান করেন তাদেরও  এমন সমস্যা হতে পারে।

ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার সমস্যা হলে করণীয় সম্পর্কে ডা. অরিন্দম দত্ত বলছেন, “কফি কিংবা ক্যাফিন জাতীয় পানীয় বর্জন, ড্রিংক, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, মশলাদার খাবার, অ্যাসিডিক ফুড ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।“

সারাদিনে কত সময়, কতবার প্রস্রাব হচ্ছে তা লিখে রাখুন। চিকিৎসকে জানান। চিকিৎসকের পরামর্শ ওষুধ সেবন করুন।

 

সূত্র: এনডিটিভি

Link copied!