• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ: জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যেই স্তন্যপান জরুরি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২, ০৩:৫২ পিএম
বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ: জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যেই স্তন্যপান জরুরি

১ আগস্ট সোমবার থেকে শুরু হলো বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ বা World Breastfeeding Week। আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পালিত হবে এটি। প্রতিবছরের মতো এবারও মাতৃদুগ্ধের গুরুত্বের প্রচার করা হবে বিশ্বজুড়ে। শিশু জন্মের অন্তত ৬ মাস পর্যন্ত স্তন্যপান সর্বোত্তম প্রয়োজন। এটি শিশুকে সব পুষ্টির জোগান দেয় এবং যেকোনও ধরণের  অসুস্থতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। 

প্রতি বছর এই বিশেষ সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য থাকে। এবছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘Step up for  breastfeeding: Educate and support’. অর্থাত্ স্তন্যপানে পদক্ষেপ নিন: সচেতনতা বাড়ান এবং সমর্থন করুন।‍‍`

শিশুর বিকাশের জন্য স্তন্যপান করানো কতটা প্রয়োজন সে সম্পর্কে জনসচেতনা বাড়াতেই সপ্তাহব্যাপী এটি পালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে প্রচারাভিযান। মা ও পরিবারের মধ্যে মাতৃদুগ্ধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতিবছর এই আয়োজন করা হয়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিলের (ইউনিসেফ) সুপারিশ অনুযায়ী, নবজাতক শিশুকে অবশ্যই জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে হবে। অন্তত শিশুর বয়স ছয় মাস  পর্যন্ত নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ খাওযানো প্রয়োজন। বাচ্চার সঠিক বিকাশে এর বিকল্প নেই।

বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহব্যাপী পালন শুরু হয় ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিংঅ্যাকশন দ্বারা। বিশ্বের  ১২০টি দেশ এখন এটি পালন করে। 

১৯৯০ সালের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ ব্রেস্টফিডিং আইন প্রসঙ্গে সমর্থন ও প্রচারের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি চালু করে। ইতালির ফ্লোরেন্সে ইনোসেনটি গবেষণা কেন্দ্রের ঘোষণার সম্মানে ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ পালন শুরু হয়। স্তন্যপানের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উৎসাহিত করতে বৈশ্বিক প্রচারাভিযান শুরু হয়। মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহর প্রথম দিন ১ আগস্টকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস হিসেবে সনাক্ত করা হয়।

প্রথম বিশ্বের ৭০টি দেশ স্তন্যপানের গুরুত্ব সপ্তাহব্যাপী প্রচার চালিয়ে এই বিশেষ সপ্তাহ পালন করতো । পরে এটি বিশ্বের ১২০টি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও পালিত হয় এই বিশেষ সপ্তাহ।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে যৌথ-উদ্যোগে ২০১৬ সালে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ উদযাপন শুরু হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি রেজোলিউশনে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে সমর্থন করে।

ইউনিসেফ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্তন্যপান সদ্যজাত বাচ্চা ও মা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি  বাচ্চাকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। মায়ের সুস্থতাও নিশ্চিত করে। মায়ের স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই চিকিৎসকরা স্তন্যপানের পরামর্শ দেন। 

স্তন্যপানের সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে

স্তন্যপানের সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

  • বাচ্চাকে স্তন্যপানের সময় তাড়াহুড়ো না যাবে না। সময় নিয়ে স্তন্যপান করাতে হবে। 
  • বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করাতে হবে। বাচ্চার পেট না ভরলে পুষ্টি অপূর্ণ থেকে যায়।
  • স্তন্যপান করানোর সময় ব্যথা বা অস্বস্তিবোধ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোনও ধরণের  সমস্যা উপেক্ষা করা যাবে না। এতে বাচ্চা ও মা উভয়েই ক্ষতি হতে পারে।
Link copied!