• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: ‘জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২, ১০:৪৮ এএম
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: ‘জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে’

২৮ মে শনিবার, নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এই বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে’। নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের এই দিনকে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ঘোষণা করেন। পরের বছর ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

মাতৃত্বের স্বাদ নারীর সবচেয়ে বড় পাওয়া। সব নারীই এই স্বাদ পেতে চান। গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত নারীর উপযুক্ত গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই থাকে দিবসটির প্রধান লক্ষ্য।

জাতীয়ভাবে দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে দেশের বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এদিকে মা ও শিশুর নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানীর আজিমপুরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ (এমসিএইচটিআই), সারা দেশের জেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব স্থানে আগামী ২ জুন পর্যন্ত গর্ভকালীন বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।

মায়ের স্বাস্থ্য ঠিক রেখে পরিবার, সমাজ ও দেশকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই এসব সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানায় সংগঠনগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, একজন মায়ের গর্ভাবস্থা, প্রসব অবস্থা ও প্রসব-পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে মৃত্যু হলে তা ‘মাতৃমৃত্যু’ হিসেবে গণ্য হয়। প্রসবজনিত জটিলতায় সারা বিশ্বে প্রতি দিন ৮০০ মাতৃমৃত্যু হয়। এর ৯৯ শতাংশ মৃত্যুই হয় উন্নয়নশীল দেশে।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান সময়ে দেশে প্রতি লাখে জীবিত শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে মাতৃমৃত্যু হয় ১৬৫ জনের। ২০০৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ২৫৯ জন। গত ১০ বছরে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। প্রতি লাখে জীবিত শিশুর জন্মে প্রায় ৯৪ জন। দেশের মাতৃমৃত্যু হারের কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটে হেমারেজে, যা প্রায় ৩১ শতাংশ।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়,  সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রসূতি মায়ের দক্ষ সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বেশ কিছু কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে অভিজ্ঞ নার্সও প্রয়োজন। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স-ধাত্রী তৈরিতে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ জরুরি।

 

Link copied!