গরমে শিশুদের খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়। আর যার কারণে শিশুরা নানা প্রকার পেটের সংক্রমণে ভোগে। এ সময় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শিশুর শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়।
ডিহাইড্রেশনে ভুগলে শিশুর শরীরে ও আচারণে তার কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা তা বুঝতে পারেন না। মূলত তিন ধরনের ডিহাইড্রেশন শিশুদের হয়ে থাকে। হাইপোটোনিক (শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হয়), হাইপারটনিক (শরীরে জলের ঘাটতি হয়) আর আইসোটনিক (শরীরে জল ও ইলেকট্রোলাইট, দুইয়ের ঘাটতি হয়)।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে বুঝবেন যেভাবে-
- শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশ শুকিয়ে যায়। সেদিকে নজর রাখুন।
- শিশু কান্নার সময়ে চোখ দিয়ে বেশি পানি না পড়লে তা ডিহাইড্রেশনের একটা বড় চিহ্ন।
- শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে শিশুর প্রস্রাব হলুদ রঙের হবে। শিশু যদি দু’-তিন ঘণ্টা অন্তর প্রস্রাব না করে, তা হলেও বুঝবেন তার শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে।
- ডিহাইড্রেশন হলে শিশুরা সারাক্ষণ ঝিমিয়ে থাকে। খেলাধুলা না করে দিনের বেশির ভাগ সময়েই সে ঘুমিয়ে থাকতে চায়। এই প্রবণতা দেখা দিলে এখনই সাবধান হোন।
- শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে তার মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। শিশু সব সময়ে ঘ্যানঘ্যান করলে বা কান্নাকাটি করলে হতে পারে তার ডিহাইড্রেশন হয়েছে।
শিশুর শরীরে এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে। শিশুর যেনো পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি খায়, সে দিকে নজর দিন। যদি দেখেন শিশু যে মাত্রায় পানি খাচ্ছে তার বেশি পরিমাণ পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা হলে চিকিৎসকরের পরামর্শ নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :