• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনাকালে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, যা বললেন বিশেষজ্ঞ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম
করোনাকালে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, যা বললেন বিশেষজ্ঞ

করোনা ও ডেঙ্গুর আতঙ্ক এখন দেশজুড়ে। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোর-তরুণরাও এখন সংক্রমিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ জ্বরও ঘিরে ধরছে শিশুদের। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকরা। কীভাবে চিকিৎসা করাবেন, কখন করাবেন, তা নিয়ে  বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের।

করোনাকালে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কী করা যাবে, তা নিয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (পেডিয়াট্রিক্স) ডা. কুন্তল রায়। সংবাদ প্রকাশ-এর বিশেষ আয়োজন ‘ডাক্তার আছেন’- অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ প্রতিবেদন  বিস্তারিত কথা বলেছেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সানজিদা শম্পা।

শিশুদের জ্বরের প্রসঙ্গে ডা. কুন্তল রায় বলেন, “এই মৌসুমে জ্বরকে সাধারণত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। সাধারণত ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, করোনার জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড। সাধারণ জ্বর ২ থেকে ৩ দিন থাকে। কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না। সর্দি থাকতে পারে তবে হালকা। ডেঙ্গুর সঙ্গে শরীর ব্যথা থাকবে।”

“পরিবারের অন্য সদস্যরা বা বাসায় আসা কোনো অতিথি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা খেয়াল রাখুন। সে ক্ষেত্রে বাচ্চার জ্বর হলে করোনার শঙ্কাই বেশি থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পরিবারে বড়রা আক্রান্ত হওয়ার পরই বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে। বাচ্চাদের নাক বন্ধ হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে।”

“জ্বর হলে ৩ দিন পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষা করলে বোঝা যায় রোগটির ভয়াবহতা কত। এরপর ৭ দিন পর আবারও কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। পরীক্ষা করলেই তা আমাদের গাইড করবে জ্বরটা কোন দিকে যাচ্ছে। কতটুকু ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে তা বোঝা যায়। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।”

“বাংলাদেশে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনট্রমের অনেক শিশু পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে শিশু মৃত্যুও বাড়ছে। তাই সতর্ক থাকবে হবে।”

যেসব শিশুর আগে থেকে কোনো জটিল রোগ রয়েছে কি না, তাদের অভিভাবকরা কী করতে পারেন এই পরিস্থিতিতে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শিশুদের ঘরে থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে শিশুকে বাইরে থেকে বের করে। যদি খুব প্রয়োজন হয় তবে ডাবল মাস্ক পরাবেন। এখন বাজারে এন-৯৫ মাস্ক শিশুদের জন্য়ও পাওয়া যায়, যা ৯৫ শতাংশ নিরাপদে রাখে।”

“এ ছাড়া যারা নিয়মিত বাইরে যাচ্ছেন তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় পাল্টে ফেলতে হবে। শিশুর জন্য় কোনো কিছু কিনে আনলে তা স্যানিটাইজ করে দিতে হবে। শিশুকেও নিরাপদ থাকার পন্থাগুলো জানাতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে তাকেও বারবার হাত ধোয়া, কীভাবে হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরা শেখাতে হবে। খেয়াল রাখবেন, বাইরে থেকে আসলেই যেন বাচ্চা আপনার কাছে দৌড়ে না যায়। যতক্ষণ না আপনি নিজে পরিষ্কার থাকছেন। পরিবারের বড় কেউ করোনায় আক্রান্ত থাকলে অবশ্যই তাকে আইসোলেট করতে হবে।”

“শিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত সবারই করোনা পরীক্ষা করাতে ভয় পায়। এটা না করে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। শিশুর করোনা ধরা পড়লে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।”

Link copied!