• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে সুস্থতায় ৬ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২, ০১:৪১ পিএম
শীতে সুস্থতায় ৬ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন

ঋতু পরিবর্তনে নানা রোগ হয়। শীত এলে রোগের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। অনেকে বলেন, শীতের সময় পুরোনো রোগও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্ক ও শিশুরা এই সময় রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। যেমন সর্দি-কাশি,  গলাব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেটে ব্যথা, কানে ব্যথা, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ বেড়ে যায়। তাই এই সময় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। পাল্টে নিতে হবে জীবনযাত্রা। চলাফেরা থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়ায় হতে হবে সতর্ক। এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যা থেকে ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়ে যায়। 

শীতকালে খাবারে থাকতে হবে কঠোর সতর্কতা। এড়িয়ে যেতে হবে বেশ কিছু খাবার। চলুন জেনে নিই শীতকালে সুস্থতা নিশ্চিতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।

দুগ্ধজাত খাবার

দুগ্ধজাত খাবার শীতের সময় কম খাওয়া ভালো। বিশেষ করে চিজ ও ক্রিম। এগুলো শরীরে তেমন পুষ্টিরও জোগান দেয় না। বরং এগুলো খেথে শরীরে লালা এবং মিউকাসের ঘনত্ব বেড়ে যায়। যা থেকে শিশুদের খাবার গলাঃধকরণের প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়। তাই শিশুর শীতকালীন খাবারে দুগ্ধজাত এই খাবার না রাখাই ভালো।

ফ্রোজেন খাবার

শীতের সময় ফ্রোজেন খাবার একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। শিশুরা মাংস খেতে পছন্দ করে। কিন্তু মাংসের ফ্রোজেন করে রাখা হয়। কিংবা বাজার থেকে ফ্রোজেন মাংস কিনে আনা হয়, যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এসব ফ্রোজেন মাংস শরীরে মিউকাস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে গলায় ইনফেকশনও হতে পারে। শীতের সময় যথাসম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বাইরের খাবার

শীতের সময় ঘরের খাবার খাওয়াই ভালো। এই সময় বাইরের খাবার খেলে নানা রোগ হতে পারে। বাইরে ফাস্ট ফুড বা ভাজা খাবার শরীরে ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। আরও বেড়ে যায় শরীরে লালা মিউকাসের পরিমাণ। তাই শিশুদের জন্য যেকোনো খাবার বাড়িতেই বানিয়ে দিন। 

চকলেট

শীতের সময় চকলেট কম খাওয়া ভালো। এটি শরীরে শরীরের শ্বেতরক্তকণিকা কমিয়ে ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই কোনোভাবেই অতিরিক্ত চকলেট খাওয়া যাবে না।

কোল্ডড্রিংকস ও আইসক্রিম

কোল্ডড্রিংস ও আইসক্রিম দুটোই ফ্রিজে রাখা হয়, যা অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে। এই ঠান্ডা খাবারে ঠান্ডা লেগে যাওয়া স্বাভাবিক। শিশুরা আইসক্রিম খেতে মর্জি করলেও তা এড়িয়ে যান।

মেয়োনিজ

মেয়োনিজ রয়েছে এমন খাবারও শীতের সময় এড়িয়ে যাবেন। কারণ এতে হিস্টামিন থাকে, যা খেলে শরীরে মিউকাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। থ্রোট ইনফেকশন হয়। তাই ঘরের খাবারেও মেয়োনিজ ব্যবহার এড়িয়ে যাবেন। 

Link copied!