• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঋতু বদলে অ্যালার্জি, বুঝবেন যেসব উপসর্গে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২, ০১:৪৩ পিএম
ঋতু বদলে অ্যালার্জি, বুঝবেন যেসব উপসর্গে

বদলে যাচ্ছে মৌসুম। আবহাওয়ায় এখন ঠাণ্ডা-গরম অনুভূতি দিচ্ছে। আবহাওয়া বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও পরিবর্তন হতে শুরু করে। এই সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। হঠাত্ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া, জ্বর আসা অতি সাধারণ রোগ এখন। এছাড়াও কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায় এই সময়। ঋতু বদলের সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে কিছু রোগও। যেমন অ্যালার্জি ও  শ্বাসকষ্টের মতো রোগ বেড়ে যায়। সর্দি-কাশির প্রকোপও বেড়ে উঠে। বিভিন্ন ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঋতু বদলের এই সময় যথাসম্ভব সাবধান ও সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভাইরাসজনিত রোগ শীতে বেশি দেখা যায়। শীতে বাতাসে ধূলিকণা বেশি থাকে। তাই মানুষের শরীরে ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করে। যাদের অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে শীতের সময় এটি আরও বেড়ে যেতে পারে। শীতকালীন অ্যালার্জিতে ভুগছেন তা বোঝার কিছু উপসর্গ রয়েছে। চলুন দেখে আসি সেই উপসর্গ কী কী।

  • শীতের সময় বাতাসে ধূলাবালি বেশি উড়ে। তাই ঘন ঘন হাঁচি হতে পারে।
  • এই সময় গলায় খুসখুসে কাশি হতে পরে। যা অ্যালার্জির লক্ষণ। 
  1. নাক দিয়ে পানি পড়া বেড়ে যায়। এটি অ্যালার্জির কারণেই হয়। ঠাণ্ডা লাগলেও এমনটা হতে পারে। নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সময় মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হয়। যা অস্বস্তিকর।
  • কানে অস্বস্তিবোধ হবে। কান চুলকানো বেড়ে যাবে। শিরশির অনুভূত হতে পারে।
  • চোখে জ্বালা ভাব করতে পারে। অ্যালার্জির বেড়ে গেলে চোখে জ্বালাভাব হয়ে লালচে হয়ে যেতে পারে।
  • অ্যালার্জির কারণে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। যা থেকে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। হালকা জ্বর জ্বর অনুভূত হতে পারে।
  • অ্যালার্জির সমস্যায় ত্বকেও সংক্রমণ দেখা দেয়। যা থেকে ত্বকে ফুসকুড়ি, রুক্ষতা বেড়ে যেতে পারে।

সতর্কতা

বিশেজ্ঞরা জানান, অ্যালার্জির স্থায়ী কোনও সমাধান নেই। এটি সরাসরি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। তাই সতর্ক হওয়া ছাড়া এর কোনও সমাধান নেই। বস্তু বা খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা এড়িয়ে যেতে হবে। অ্যালার্জিতে হিস্টামিন প্রচুর রিলিজ হয়। তাই অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে হিস্টামিনও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন হচ্ছে মূল চিকিৎসা।

এছাড়াও বাতাসে ধূলাবালি থেকে অ্যালার্জি বাড়তে পারে। তাই অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়িতে যেন ধুলা না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুরোনো কাপড় পরা যাবে না। শীতের কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত বিছানার চাদর ও বালিশের ওয়াড় বদলে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে কার্পেট বর্জন করতে হবে। আর্দ্রতা স্বাভাবিক রাখতে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারে সমস্যা হলে তা এড়িয়ে চলুন।

গলায় সমস্যা হলে লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন। মেডিসিন খেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Link copied!