• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
প্রয়াণে স্মরণ

লতা মঙ্গেশকর থেকে গেলেন!


স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ০২:৩৪ পিএম
লতা মঙ্গেশকর থেকে গেলেন!

হ্যাঁ উনি দেহত্যাগ করলেন আজ। কিন্তু তাঁর সারাজীবনের গাওয়া গানগুলো থেকে গেল সকল শ্রোতাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়। প্রয়াণে গভীর শ্রদ্ধা এই কোকিলকণ্ঠি সংগীতব্যক্তিত্বকে। হাজার বছরে একজন লতা মঙ্গেশকর জন্ম নেন। আমাদের সৌভাগ্য আমাদের জীবদ্দশায় উনার গান আমরা শুনে যেতে পারছি। আমার কাছে লতাজি সবসময় প্রাণবন্ত ও জীবন্ত। তাই সাদাকালো নয় রঙিন লতা মঙ্গেশকর এই ছবিই আমার কাছে আদর্শ। লতা মঙ্গেশকর ছিলেন একজন আজন্ম জীবন যোদ্ধা। জীবনের নানা উত্থান পতনে গড়া লতার সংগ্রামী জীবন। আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতব্যক্তিত্ব লতা মঙ্গেশকর এর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত।

• লতা নামটি শুনলেই কেমন জানি আপনা আপনি মনের মধ্যে গান লতিয়ে ওঠে। এমন মধুমাখা গানের কণ্ঠ আমাদের বেশি শোনা হয়নি। হাজার হাজার গানের শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। আমাদের জীবনে লতার গান সকাল সন্ধ্যারাতে দিয়েছে অফুরান আনন্দ ও ভালোলাগা। জীবনের সুখ দুঃখ, ভালোলাগা মন্দলাগার সময়গুলোতে লতা মঙ্গেশকরের গান দিয়েছে দুঃখ ভোলার আনন্দপরশ এবং গভীর ভালোলাগার ছোঁয়া। এত বছর ধরে একজন শিল্পীর সচল থাকা এক বিরাট রহস্যও বলা যায়। গানের বসন্ত আসে লতার কণ্ঠের গানে।

এবার জেনে নিই প্রখ্যাত এই শিল্পীর জীবনের কিছু স্মরণীয় ঘটনা : 

• মেয়েটির বয়স তখন কেবল উনিশ। সংগীত পরিচালক গুলাম হায়দার তাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন শশধর মুখার্জীর সাথে। মুখার্জী তখন শহীদ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রটি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মেয়েটির গান শুনে “বেশি চিকন গলা, এমন কণ্ঠ প্লে-ব্যাকের জন্য নয়” বলে বাতিল করে দিলেন। বিরক্ত রাগান্বিত হায়দার বলে বসলেন, “একদিন পরিচালকেরা এই মেয়ের পায়ে পড়ে তাকে তাদের চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার জন্য ভিক্ষা করবে।” সেদিন কে জানত, এই ভবিষ্যৎবাণী অতি দ্রুতই সত্য হতে চলেছে? মেয়েটি আর কেউ নন, ভারতের গানের পাখি লতা মঙ্গেশকর। গানের সুরে কয়েক দশকজুড়ে তার বিজয়ী বিচরণে বিমোহিত হয়েছে বিশ্ব।

• ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বীননাথ মঙ্গেশকর আর সেবন্তী মঙ্গেশকরের ঘরে এলো তাদের প্রথম সন্তান, নাম রাখলেন হেমা। দ্বীননাথের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সেবন্তী। পণ্ডিত দ্বীননাথ নিজেও সংগীত আচার্য ছিলেন। সংগীত ও নাটক- দু’ক্ষেত্রেই ছিল তার সাবলীল যাতায়াত। মঞ্চনাটক লিখতেন, সঙ্গে অভিনয়ও করতেন। নাটকের প্রয়োজনে গানও গাইতেন। ‘ভাউবন্ধন’ নামের এক নাটক পরিচালনার পর নাটকের প্রধান চরিত্র লতিকাকে খুব মনে ধরেছিল দ্বীননাথ-সেবন্তী দম্পতীর। তাই সন্তানের নাম হেমা থেকে বদলে রাখা হলো লতা।

• নাম বদলের ইতিহাস তাদের পরিবারে অবশ্য নতুন নয়। বর্তমান মধ্যপ্রদেশের অধিবাসী লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের পদবি ছিল হরদিকর। দ্বীননাথ এটিকে বদলে মঙ্গেশকর করেন, যাতে তাদের নিজেদের এলাকা গোয়ার মঙ্গেশি শহরের মানুষ বলে তাদের চিহ্নিত করা যায়।

• লতা মঙ্গেশকরের পুরো পরিবারই বলতে গেলে সংগীতের রথী-মহারথী ছিলেন। লতার পর একে একে সেবন্তীর কোলে আসেন আশা ভোঁসলে, উষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর ও সর্বকনিষ্ঠ হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। ভাই-বোন বলতে পাগল ছিলেন লতা। কথিত আছে প্রতিদিন ছোট বোন আশা ভোঁসলেকে নিজের সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যেতেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলে রাগ করে সেই স্কুলে যাওয়াই ছেড়ে দেন তিনি। এ নিয়ে আবার ভিন্ন একটি মতও আছে। স্কুলের প্রথম দিনেই নাকি শিশু লতা অন্য শিশুদের গান শেখাচ্ছিল! শিক্ষক নিষেধ করতেই ছেড়ে চলে আসেন স্কুল।

• শোনা যায়, লতাকে ছোটবেলায় গান শেখানো হলেও কোনো অগ্রগতি ছিল না তার শেখায়। ওদিকে দ্বীননাথ নিজের বাসাতেই অনেক ছাত্রকে গান শেখাতেন। একদিনের ঘটনা, অল্প কিছু সময়ের জন্য বাইরে গেছেন দ্বীননাথ। এক ছাত্রকে বলে গিয়েছেন গানের অনুশীলন করতে। ফিরে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলেন ছোট্ট লতা তার ছাত্রের গানের রাগ শুধরে দিচ্ছে। তারপর থেকেই বাবার কাছে লতার তালিমের শুরু।

• পাঁচ বছর বয়স থেকে বাবার লেখা মারাঠি গীতি নাটকে ছোট ছোট চরিত্রে অংশগ্রহণ করতেন লতা। একদিন দ্বীননাথের নাটকে নারদ মুনির চরিত্রের অভিনেতা কোনো কারণে এসে পৌঁছাননি। তার আবার গানও গাওয়ার কথা। লতা বাবাকে এসে বললেন, তিনি নারদের ভূমিকায় অভিনয় করতে চান। প্রথমেই দ্বীননাথ তার প্রস্তাব বাতিল করে দিলেন। ওই অতটুকু নারদ মুনিকে দেখতে যদি জোকার লাগে? লতার পীড়াপীড়িতে শেষটায় রাজি হলেন। লতার অভিনয় আর গান শেষে দর্শকরা “আবার চাই আবার চাই” বলে চিৎকার করেছিল সেদিন।

• পিতার ছায়া খুব বেশি দিন থাকেনি মঙ্গেশকর পরিবারের ওপর। লতার বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর, তখন (১৯৪২ সাল) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দ্বীননাথ মঙ্গেশকর মারা যান। ফলে সম্পূর্ণ পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে ১৩ বছর বয়সী লতার ওপর। পরিবারের বন্ধু ‘নবযুগ চিত্রপট চলচ্চিত্র কোম্পানি’র মালিক মাস্টার বিনায়ক তখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মঙ্গেশকর পরিবারের। ছোটবেলায় মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন লতা। কিন্তু বিনায়ক তাকে গান আর অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে শেখালেন। মারাঠি চলচ্চিত্রে গাওয়া তার গান ‘খেলু সারি মানি হাউস ভারি’ চলচ্চিত্রের ফাইনাল কাট থেকে বাদ পড়ে গেল। তবু দমে যাননি লতা।

• মাস্টার বিনায়ক তার চলচ্চিত্র ‘পাহিলি মঙ্গলা-গৌর’ এ লতা মঙ্গেশকরের জন্য ছোট একটি চরিত্র বরাদ্দ করেন। এ চলচ্চিত্রে দাদা চান্দেকারের রচনা করা গান ‘নাটালি চৈত্রাচি নাভালাল’ এ কণ্ঠ দেন তিনি। তখনো চলছে তার জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ। চলচ্চিত্রের জীবনকে কখনো আপন করে নিতে পারেননি তিনি। একদিন কাজ শেষে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরলেন। মায়ের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এই কৃত্রিম অভিনয়ের জগৎ তার আর ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু করার নেই, পুরো পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধে। বসন্ত যুগলকরের ‘আপ কি সেবা ম্যায়’ চলচ্চিত্রে ‘পা লাগো কার জোরি’ গানটি তার প্রথম হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে গাওয়া গান।

• বিনায়কের মৃত্যুর পর সংগীত পরিচালক গুলাম হায়দার হন লতার গুরু। ৮৪তম জন্মদিনে তিনি বলেছিলেন, গুলাম হায়দার তার জীবনে ‘গডফাদার’ ছিলেন। গুলাম হায়দারের হাত ধরে তার জীবনে সুযোগ এলো ‘মজবুর’ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে ‘দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাহি কা না ছোড়া’ গানটি গাওয়ার। এই এক গানেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নতুন এই গায়িকাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়। জীবনের প্রথম বড় ধরনের হিট নিয়ে আসে ‘মহল’ (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি। এ গানে ঠোঁট মেলালেন মধুবালা।

• সেই তো সবে শুরু। তারপর শত শত গানে আপ্লুত করেছেন লাখো মানুষকে। ভালোবাসার সঙ্গেই এসেছে অসংখ্য পুরস্কার ও উপাধি। পঞ্চাশের দশকেই গান করে ফেললেন নামি দামি সব সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে। ষাটের দশকে উপহার দিলেন ‘পিয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া’ বা ‘আজিব দাসতা হ্যায় ইয়ে’-এর মতো এখনো পর্যন্ত তুমুলভাবে বিখ্যাত সব গান।

• একবার বেশ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। ডাক্তার জানালো ধীরে ধীরে রোজ কেউ বিষ দিচ্ছে তাকে। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে দেখলেন রাঁধুনি বেতন না নিয়েই পালিয়েছে। তার মতো একজন সদা হাসিমুখ কোকিলকণ্ঠীকে  যে কেউ মারার ষড়যন্ত্র করতে পারে, তা ছিল কল্পনার বাইরে।

• ১৯৬৩ সাল : ভারত-চীন যুদ্ধে লিপ্ত, জীবন বিসর্জন দিচ্ছেন সৈন্যরা। লতা গাইলেন ‘ইয়ে মেরে ওয়াতান কি লোগো’ গানটি। তার এই গান শুনে কেঁদেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং জওহরলাল নেহরু। সত্তরের দশকে শত শত গান সৃষ্টির সঙ্গেই কনসার্ট করেছেন দেশে-বিদেশে, তাদের অনেকগুলো আবার চ্যারিটিও। থেমে থাকেনি সময়, থেমে থাকেননি লতা। তার এত এত সৃষ্টির ফলে অনায়াসে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যার গান রেকর্ডকারী হিসেবে তার নাম আসে। পরে অবশ্য তার এই রেকর্ড ভেঙেছিলেন নিজেরই ছোট বোন আশা ভোঁসলে। মোট ৩৬টি ভাষায় রচিত তাঁর এই গানগুলোর অনেকগুলো ভাষা তিনি আসলে জানতেনই না। তার মধ্যে বাংলা গানও আছে।

• তাঁর কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ রয়েছে তিনটি জাতীয় পুরস্কার, বারোটি বাঙালি ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন পুরস্কার এবং চারটি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। শেষে অবশ্য তিনি আর ফিল্ম ফেয়ার নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার মতে, নতুনদের জায়গা করে দেয়া দরকার।

• শুধু পুরস্কার নয়, ১৯৬৯ সালে ‘পদ্মভূষণ’, ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ আর ২০০১ সালে দ্বিতীয় ভারতীয় সংগীতশিল্পী হিসেবে লতা অর্জন করেন ‘ভারতরত্ন’ খেতাব।

• ব্যক্তিজীবনে কেমন মানুষ তিনি? সদা হাস্যোজ্জ্বল, অথচ পারফেকশনিস্ট। দিলীপ কুমার নাকি তাকে আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন যে, উর্দুর টান তার ভালো নয়। পরবর্তী সময়ে উর্দু গান গাওয়ার আগে লতা শিক্ষক রেখে উর্দু শিখেছিলেন।

• শখ ছিল ফটোগ্রাফিতে, কিন্তু এখনকার এই ক্যামেরা তার আর ভালো লাগে না। ছোট বোন আশার সঙ্গে তার ঝামেলা চলছে এমন কথা অনেক শোনা যায়, কিন্তু তিনি বলেন উল্টোটা। আশা আর তার ধরন ভিন্ন, দুজনের গান ভিন্ন। কিন্তু বাড়িতে তাদের দুজনের ঘরের ভেতর কোনো দরজা নেই।

• ভূপেন হাজারিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের কথা শোনা যায়। আজীবন তাঁর কুমারী থেকে যাওয়া নিয়ে অনেক কানাঘুষো চললেও, তিনি দিব্যি আছেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান। গানের রয়ালিটি দাবি করে লতা মঙ্গেশকর আর মোহাম্মদ রাফির বিবাদ চলছিল বহুদিন। লতা জানান, রাফি তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু রাফির ছেলে তাতে অস্বীকৃতি জানান।

• ছদ্মনামে গানের পরিচালনাও করেছেন তিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার বার যখন ‘আনন্দঘন’ নামের কাউকে ডাকা হচ্ছিল, ডকুমেন্ট বলছিল সে এখানে উপস্থিত, কিন্তু কেউ পুরস্কার নিতে উঠছিল না স্টেজে। অবশেষে লতা উঠে পুরস্কার নেন। মারাঠি চলচ্চিত্রের রহস্যময় সংগীত পরিচালক আনন্দঘনের রহস্য এভাবেই সবার সামনে আসে।

• ১৯৯৯ সালে পার্লামেন্টের মেম্বার হিসেবে মনোনীত করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশির ভাগ সময়েই যোগ দিতে পারেননি অধিবেশনে। তাঁর প্রিয় খাবার মশলা জাতীয় খাদ্য ও কোকাকোলা এবং প্রিয় খেলা ক্রিকেট। প্রিয় ক্রিকেটার? শচীন টেন্ডুলকার।

• প্রয়াণ : উপমহাদেশের এই বরেণ্য সংগীতশিল্পী ২৭দিন নানা রোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানেন ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এ। প্রিয় এই সংগীতব্যক্তিত্বের প্রয়াণে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ।

দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী কখনো পাঁচ বা কখনো ১০ বছরের জন্য পদে থাকেন। কিন্তু লতাজি ৫০ বছর থেকে গেলেন ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে।
একটি কথা না বললে নিজের কাছেই অতৃপ্তি থেকে যাবে। লতাজী গানের ভুবনে সম্রাজ্ঞী হয়ে থাকবেন। কিন্তু সংসারজীবন করেননি সম্ভবত গানকে সতীন করতে চাননি তিনি। তাই তো সারাজীবন গানকে আকড়ে ধরে কাটিয়ে দিলেন গোটা একটা জীবন।
তিনি গানের সরস্বতী ছিলেন। চলেও গেলেন সরস্বতী পুজোর পরের দিনই। সরস্বতী দেবীরা তো সারাজীবনই ‍পূজ্য। যতদিন গানের ভুবন থাকবে ততদিন লতাজির গানও থাকবে আমাদের সঙ্গে প্রতিদিন নানা সঙ্গ উপলক্ষ্য, যাপন ও উদযাপনে।

• ঋণস্বীকার : দেশ ও বিদেশের পত্রপত্রিকা

Link copied!