• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস

যে কারণে মহানায়িকা সুচিত্রা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০১:৪৭ পিএম
যে কারণে মহানায়িকা সুচিত্রা

১৯৬৩ সালে সাতপাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস’ জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে। পাঠক এত সময়ে হয়তো বুঝে গিয়েছেন, কার কথা বলা হচ্ছে। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মহানায়িকা। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন।

সুচিত্রা সেন ষাটের দশকে তার আবেদনময়িতা, বুদ্ধিদীপ্ত অভিনয় এবং সাহসী চরিত্রের জন্য বাঙালির হৃদয় জয় করেছিলেন। এই মহানায়িকার আগমনও যেমন ছিল ধূমকেতুর মতো, তেমনি চলে যাওয়াটাও ছিল নিভৃতে, নীরবে। সুচিত্রা সেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ তার অষ্টম প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখব যে কারণে তিনি মহানায়িকা:

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সেই কাজল কালো চোখ, ওয়েস্টার্ন থেকে শুরু করে সাবেকিয়ান পোশাকে মানিয়ে নেওয়ায় আজও ডুবে রয়েছে ভক্তরা। তার উপস্থিতি আজও অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই কারও। মাস যাবে বছর আসবে, কিন্তু মহানায়িকা থেকে যাবে বাঙালির হৃদয়ে।

সবকিছুতে মানিয়ে নেওয়ায় দারুণ সিদ্ধহস্ত ছিলেন সুচিত্রা। যেকোনো পোশাকেই নিজেকে মেলে ধরতে পারতেন। ভারতীয় ট্রাডিশনাল থেকে শুরু করে, ওয়েস্টার্ন সবই লেটার মার্ক পেয়ে উতরেছিলেন তিনি।

ষাটের দশকে ভারতে সাহসী চরিত্র করা ছিল বেশ কঠিন। সব বাধা ভেঙে, সুচিত্রা নিজের মতো এগিয়ে নিয়েছেন এই উপমহাদেশের চলচ্চিত্রকে। আর এই কারণেই তিনি উত্তম কুমারের নন, সবার প্রিয় ‘মহানায়িকা’।

ছইয়ের দশকে স্যুইম স্যুট পরার সাহস তো দূর কেউ মাথাতেই আনতে পারেনি । তিনি সেই সাহস দেখিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সেটাকে উপস্থাপনও করেছেন। তারপরও কখনো ট্রলের শিকার হননি অভিনেত্রী।

মহানায়িকার জীবনে এক বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে ‘আন্ধি’। গুলজারের পরিচালনায় ক্যারিয়ারের শেষ দিকের হিন্দি চলচ্চিত্র ছিল এই ছবি। ইন্দিরা গান্ধীকে মাথায় রেখেই চরিত্রটি সাজানো হয়েছিল। এই ছবির জন্যই তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এর পর থেকে তিনি আর জনসমক্ষে আসেননি। দীর্ঘ ৩৬ বছর তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন। তারপরেই সবার কাছে রহস্যের মিথ হয়ে উঠেছিলেন সুচিত্রা। সেই ষাটের দশক থেকে আজকের দিন পর্যন্ত তিনি বাঙালির চিরদিনের স্বপ্নের নায়িকা হিসেবেই রয়ে গেছেন।

Link copied!