আগামী ১০ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে ‘কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ’ কনসার্ট। তবে এই কনসার্টে শুধু প্রথম সিজনের শিল্পীরাই নয়, যোগ দেবেন দ্বিতীয় সিজনের শিল্পীরা। এই অনুষ্ঠানে কনসার্ট মাতাবেন কণ্ঠশিল্পী কানিজ খন্দকার মিতু।
এর আগে এই প্ল্যাটফর্মে তিনি লালন সাঁইজির বিখ্যাত গান, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ গেয়ে শ্রোতামহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। হঠাৎ করে আলোচনায় এলেও দীর্ঘদিন ধরে সংগীতাঙ্গনে রয়েছেন মিতু।
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন আলোচিত এই সংগীতশিল্পী। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত তিনি। মিতুর স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয় ২০১১ আয়োজিত সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে। এই আয়োজনে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি।
কোক স্টুডিওতে গুণী সংগীতশিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মিতু বলেন, “এত বড় প্ল্যাটফর্মে লালন সাঁইজির গান করতে পেরেছি, এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানাই অর্ণব দার প্রতি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমার ওস্তাদ গোলাম রাব্বানীর প্রতি। তিনি আমার পাশে ছায়ার মতো না থাকলে এতদূর আসা হতো না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। তাছাড়া আমাদের সংগীত বিভাগের ডিন ড. মোশাররফ শবনম, বিভাগীয় প্রধান ড. জাহিদুল কবির, ড. আরিফুর রহমান ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর স্যাররা সবসময় আমাকে বিভিন্নভাবে পড়াশোনা আর গান নিয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকেন। স্যারদের সহযোগিতা ছিল বলেই আমি পড়াশুনার পাশাপাশি গান নিয়ে আজকের এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।”
আলোচিত এই সংগীতশিল্পী আরও বলেন, “স্যারদের সহযোগিতায় আমি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় অনেক গান নিয়েও গবেষণার কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ময়মনসিংহের ‘ঘাটো গান’। ইতোমধ্যে গানের ওপর আমার নিজের করা একটি গবেষণা ‘মানববিদ্যা’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।”
টাঙ্গাইলের মেয়ে মিতুর গানের তালিম শুরু হয় ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের কাছে। তিনি মিতুকে নিজের মেয়ের মতো করেই গানের তালিম দেন, মিতু তাকে গুরু বাবা বলেই ডাকেন। মিতু নিজের ধ্যানজ্ঞান একাকার করে সঙ্গী করেছিলেন গানকে।
গান নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে মিতু বলেন, “ছোট থেকেই গান নিয়ে থাকলেও কোক স্টুডিওর এই গানের মাধ্যমে আমার পুনর্জন্ম হলো। এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। পাশাপাশি গান দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারি। বর্তমানে ‘বাংলা বাউল স্টুডিও’ সিজন-১ নামের একটি অনুষ্ঠানের জন্য গান করেছি। আসছে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।”