শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছে বলে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে অনেকেই ষড়যন্ত্র করেছিল। এখনো ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষগুলোই তাকে হত্যা করেছিল।”
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবন-২-এর সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পতাকা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. আব্দুল গণির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশকে স্বাধীন করতে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্বাসন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর এসব কাজ অনেক স্বাধীনতাবিরোধীরা সহ্য করতে পারেনি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল।”
উপাচার্য আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে হাল ধরেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৮০০ ডলার। তা বেড়ে এখন ২৬০০ ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের তখন বাজেট ছিল সোয়া লাখ কোটি টাকা, এখন ২০২২ সালে এসে হয়েছে ছয় লাখ কোটি টাকা।”
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করত, সেখানে এখন ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এখন কোনো কারণ ছাড়াই আর লোডশেডিং হয় না। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এই সোনার বাংলা গড়ে উঠেছিল। শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।”
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, প্রক্টর, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
এদিকে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিশু কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে মিনি অডিটরিয়ামে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।