শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজেছে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা। নবপত্রপল্লবে শোভিত হয়ে উঠছে প্রকৃতি। মধুর বসন্তের সাজ সাজ রব। পুরো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রকৃতিতে চলছে বসন্তের আগমনী বার্তা।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, আবাসিক হল, প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের সামনে লাল, নীল, খয়েরি ও হলুদ বাহারি ফুলের সমাহার। পাতা ঝরা শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে গাছের ডালে ডালে উঁকি দিচ্ছে নতুন পাতা ও কুঁড়ি। সবুজ হয়ে উঠেছে চারপাশ। নবপত্রপল্লবে শোভিত হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রকৃতিতে নতুনত্বের ছোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের চোরঙ্গী মোড় পলাশের রক্তিম রঙ্গে রঙিন।
আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর, রাস্তার পাশে নজর কাড়ছে রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম, গাঁদাসহ হরেক রকম ফুল। ক্যাম্পাসের গাছে গাছে নানা রঙের ফুল, দূর থেকে ভেসে আসা কোকিলের মিষ্টি ডাক বসন্তের রূপকে প্রকৃতির কাছে সমার্পন করে। ঠিক যেন সাদামাটা ক্যানভাসে শিল্পীর আঁকা রঙিন কোনো ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোয়াল্লেম হাসনাত দিদার বলেন, “ষড় ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও প্রকৃতিতে। তবে যে কোনো ঋতু আমাদের জাবি ক্যাম্পাসে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। বসন্তের আগমনী গান নিয়ে প্রকৃতি সেজেছে নতুন বেশে। বসন্তের জাবি ক্যাম্পাসের প্রকৃতি দেখলে মন অব্যক্ত এক ভালো লাগায় ভরে ওঠে।”
চারিদিকে সবুজের সমারহ। ঐশ্বর্যের যেন কোনো কমতি নেই এ ক্যাম্পাসে। বহুরূপী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সব ঋতুতে মনহরা। তবে প্রতিবছর ক্যাম্পাসের প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের নতুন অনুষঙ্গ নিয়ে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। রঙ বাহারি প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় কতইনা হৃদয় ছোঁয়া বসন্তের জাবি ক্যাম্পাস। এখন যেন শুধুই অপেক্ষা বসন্ত আগমনের।