• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
ঢাবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

সোমবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

এসময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বাংলার মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় রবীন্দ্রনাথ তার কবিতা, ছোটগল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষীয় দর্শন ছিল অনেক উদার। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে আমাদের সবসময় তুলে ধরতে হবে। রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানলে আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারব।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা জোগায়।”

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল মূল প্রবন্ধে বলেন, “রবীন্দ্রনাথের সমাজদর্শন বিশ্বদর্শনে পরিণত হয়েছে। তার শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত। তিনি লেখনীর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি নারীকে সর্বোচ্চ আসনে রেখেছেন।”

আলোচনা পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!