• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নারীদের বাথরুমে ঢুকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
নারীদের বাথরুমে ঢুকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) নারীদের বাথরুমে ঢুকে এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ওই নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত তানজিন আল আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাবি আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিন মাতাল অবস্থায় ছিলেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮টা ২০ মিনিটে আমি টিএসসিতে নারীদের জন্য নির্ধারিত বাথরুমে ব্যবহারকালে তানজিন আল আলামিন মদ্যপ অবস্থায় বাথরুমে প্রবেশ করে একটি টয়লেটের দরজা খোলা রেখে অর্ধনগ্ন হয়ে মূত্রত্যাগ করতে থাকে এবং আমার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। আমি প্রচণ্ড ভীত ও উদ্বিগ্ন হই। পরে আমি এবং আমার বন্ধুরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি তাচ্ছিল্যের সুরে কথা বলতে থাকেন। ভুল স্বীকার না করে তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনসহ আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এমতাবস্থায় আমি তার দ্বারা হওয়া হয়রানি ও হুমকির প্রেক্ষিতে অনিরাপদবোধ করছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ তদারকির মাধ্যমে দোষী ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়ে বিচার প্রার্থনা করছি।”

মাতাল অবস্থায় ছাত্রীদের বাথরুমে ঢোকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তানজিন বলেন, “আমি ভুল করে মেয়েদের বাথরুমে ঢুকেছিলাম। বুঝতে পেরে দ্রুত বের হয়ে ছেলেদের বাথরুমে যাই। ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুদের কাছে একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করেছি। ক্ষমা চেয়েছি। ক্ষমা চাইতে এখনো তার কাছে যাব।”

মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক, আমি বারবার সরি বলার পরও তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আমি কোনোভাবেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, “ভুক্তভোগী ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগপত্র এখনো পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”

 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!