• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ইয়ুথ ওয়াটার ফেলোশিপ’ পেলেন শাবি শিক্ষার্থী সরোয়ার


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০৯:৫৮ পিএম
 ‘ইয়ুথ ওয়াটার ফেলোশিপ’ পেলেন শাবি শিক্ষার্থী সরোয়ার

‘ইয়ুথ ওয়াটার ফেলোশিপ’ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সরোয়ার জামান।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকালে সিইপি বিভাগের অধ্যাপক এবং ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সরোয়ার জামানের মেন্টর ড. আবু ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ড.আবু ইউসুফ জানান, পানি নিয়ে তরুণদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে ইয়ুথ ওয়াটার ফেলোশিপ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। এ ফেলোশিপ প্রোগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য, পানি বিষয়ক সমস্যা সমাধান ও টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি-৬) এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। হাউজ অব ভলান্টিয়ারস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনিবিলিটি ইন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের (এস্টেক্স বুয়েট) যৌথ উদ্যোগে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এতে সহায়তা করছে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু এবং জলজ প্রানীর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার ও অপব্যবহারের কারণে নদী, হ্রদ ও সব রকমের জলজ পরিবেশে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।”

গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, “অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন ট্রান্সফারের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয়। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, প্রচলিত পানি পরিশোধন নিয়মে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন ট্রান্সফার বন্ধ হয় না।”

তিনি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো বলেন, "আমাদের গবেষণায় আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন ট্রান্সফার বন্ধ করার জন্য পালস ইলেক্ট্রিক ফিল্ড প্রয়োগ করব। এতে হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিসিটি দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের পাশাপাশি জিন ট্রান্সফার রোধ করব।"

ফেলোশিপের বিষয়ে মো. সরোয়ার জামান বলেন, “এটি আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। এই ফেলোশিপ পাওয়ার পেছনে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করেছেন ইউসুফ স্যার। উনার সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা না থাকলে হয়তো এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হত না। এজন্য স্যারের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”

জামান বলেন, “গত জুন মাসে আমি আবেদন করি। এ ফেলোশিপের জন্য ১৯১ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন বলে জানতে পারি। পরে তাদের সাক্ষাৎকার ও বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ৭ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। সেখানে আমিও ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হই। তারা আগামী ছয় মাস (জুলাই ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২) এ ফেলোশিপ সাপোর্ট দিবেন।”

 

Link copied!