• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তদন্তের দাবি


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তদন্তের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়ন ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বরাবর লিখিত দাবি পেশ করেন তারা।

লিখিত দাবিতে তারা বলেন, “গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অনৈতিক সম্পর্কের প্রভাবের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ওই বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থের বিনিময়ে নারী শিক্ষার্থীদের ফল ও নিয়োগে বেআইনি প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে প্রকাশ পেয়েছে। এর আগেও নানান সময়ে ওই একই শিক্ষক নানান বিব্রতকর কাজে জড়িত ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল আলোচিত হয়েছিল।”

লিখিত পত্রে তারা একটি গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি করেন। এছাড়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করার জন্য উপাচার্যকে আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ন্যায় বিচারের স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সম্ভাবনা সংকুচিত করার জোর দাবি জানান তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের কাছে লিখিত দাবি উত্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক সোহেল রানা, অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান চয়ন প্রমুখ।

এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “যার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্ত বিলম্বিত হলে তার দায় প্রশাসনের। এ অভিযোগ উঠায় প্রশাসনের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই এই বিষয়টির তদন্ত করে দ্রুত সুরাহা করা উচিত। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত দায়মুক্তও হতে পারে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর দুটি অভিযোগ শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের পদ ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার। অন্য অভিযোগটি হলো, আরেক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করা।
 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!