‘সাইড’ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২, ০৫:৫৯ পিএম
‘সাইড’ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ‘সাইড’ চাওয়াকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ (ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ-১৩ ব্যাচ) নামাজে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু হল গেইটের সামনে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সেলিম আহমেদকে (লোক প্রশাসন বিভাগ-১৪ ব্যাচ) সাইড দেওয়ার কথা বলে। এসময় সেলিম আহমেদের কাঁধে ধাক্কা লাগে।

নামাজ শেষে এ নিয়ে সেলিম ও রায়হানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে সেলিমসহ তার বন্ধু মাহবুব ও রায়হান একে-অপরের প্রতি উত্তেজিত হয়ে উঠে। এসময় দুই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। এসময় মসজিদের সকল মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ দুই হলের ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সেলিম আহমেদ বলেন, “আমি আমার সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে নামাজে যাচ্ছিলাম। তারপর উনি (রায়হান) এসে আমাকে ধাক্কা মারে এবং তুই বলে সম্মোধন করে। আমি উনাকে (রায়হান) আগে থেকে চিনতাম না। তারপর নজরুল হলের বড় ভাইদের বলি উনি (রায়হান) কেন আমাকে ধাক্কা মেরেছে? তারপর নামাজ শেষে এসে আমাকে বলে তুই কে? আমাকে চিনোস?”

ধাক্কা দেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, “আমি নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। তারা তিন-চারজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। আমি শুধু বলেছি যে একটু সাইড দেন নামাজে যাব। এখানে ধাক্কা দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।”

এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, “আমি নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি দুই হলের ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সামাল দেই। পরবর্তীতে আমরা মিমাংশায় বসে মূল ঘটনা জেনে এর সুষ্ঠু সমাধান করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, “বিষয়টা জানতে পেরে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। যেহেতু বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে, তারপরও আমরা এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব। আসলে নামাজের পর এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।”