১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শাখা ছাত্রলীগ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হলের টিভি কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী এবং বিষয়ভিত্তিক মুখ্য আলোচক হিসেবে ইবি শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বিশেষ অতিথি হিসেবে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জনাব মো. সাইফুল ইসলাম এবং হলের আবাসিক শিক্ষকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, “বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর একটা রোল মডেল করেছেন। তার মানবিক চিন্তাভাবনা ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক বোধ দেশটাকে একটা চমৎকার জায়গায় নিয়ে গেছেন। ঠিক সেই সময়টাতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে দমিয়ে রাখা যায়নি, তার চেতনা সমগ্র বাংলাদেশের সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।”
মুখ্য আলোচক মামুনুর রহমান বলেন, “নেতৃত্ব হলো ফুলের কলির মতো বিকশিত করে আনা। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত মানুষের মাঝের সুপ্ততাকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে স্বাধীনতার কলি বিকশিত করেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুললেন। তার পরেই তিনি মারা গেলেন। শুধু তিনি নয় পরিবারের সকলকেই নিঃশেষ করে দেয়া হলো। শুধু বেঁচে গেলেন শেখ হাসিনা ও তার বোন। সেগুলো ভেদ করে প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে গেলেন যেখান থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাই।”
প্রধান বক্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী বাংলাদেশকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে খুব অল্প সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা নিষ্ঠুরভাবে তাকে হত্যা করেন। সেই স্বাধীনতা বিরোধীরাই আজ আমাদের দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা যেন দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”







































