ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আইন বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আরাফাতুল ওসমানী। তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সোমবার (৭ আগস্ট) তিনি দুপুর একটার দিকে ক্লাস শেষ করে আইন বিভাগের মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় আরাফাতুল ওসমানী তাকে শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ করেন ও এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত দেন। এছাড়াও তাকে মেরে পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দেন।
কী কারণে এমন আচরণ করলেন আরাফাতুল—এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “মূলত ওর প্রেমিকার সঙ্গে কী একটা ঝামেলা হয়েছিল। ওর প্রেমিকা হচ্ছে আমার বান্ধবী। আমি যখন হল মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন সে বলতেছে, ‘তুই ওর সাথে আর কথা বলবি না, কোথাও যাবি না।’ আমি তখন তার কথার জবাবে বলি যে, আমি কেন তার সঙ্গে কথা বলবো না, সে তো আমার বান্ধবী।’ এটা বলার পরেই সে আমার দিকে বার বার তেড়ে আসতেছিল। এমনকি আমার গায়েও হাত দিয়েছে এবং বারবার হুমকি দিচ্ছিলো যে মেরে আমার পা ভেঙে দেবে।”
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে আরাফাতুল ওসমানী বলেন, “অভিযোগকারিনী এবং তার কিছু বন্ধু অনেকদিন ধরেই এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো। যেখানে আমার নামে অভিযোগ করা যাবে এবং আমার সুনাম নষ্ট করা যাবে। এ উদ্দেশ্যে তারা নিয়মিত বিভিন্নভাবে আমাকে রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতো, যেন আমার বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের অভিযোগ জানাতে পারে।”
ওসমানী বলেন, “সম্প্রতি আমি তাদের প্ররোচনায় পড়ে, তার অকথ্য গালাগালি ও ‘স্যান্ডেল পেটা’ করার হুমকি সহ্য করতে না পেরে এবং আমাদের অন্য এক বান্ধবীকে সে মৌখিকভাবে অপমান ও শারীরিকভাবে আঘাত করতে যাচ্ছে দেখে প্রতিবাদ জানালে সে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা আনে।”
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পত্র পেয়েছি। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমাদের পক্ষে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার অবশ্যই সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”








































