• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাবির নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২, ১০:১৩ এএম
জাবির নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহিদ হকের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আবাসিক ছাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হলের ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেন তারা। তবে ছাত্রীরা হলের সামনে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অবস্থান নিলেও প্রাধ্যক্ষ আসেননি।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো বাজে ক্যান্টিন বন্ধ করে নতুন ক্যান্টিন চালু করা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়ানো, হল সংস্কারের নামে দীর্ঘসূত্রতার দ্রুত অবসান ও সংস্কার কার্যক্রমের যথাযথ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা, নতুন নতুন নিয়মের নামে ছাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করা,  হল পূর্ণরূপে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা ও রিডিং রুম নির্মাণ করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবারের বিষয়ে বেশ কয়েকবার হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তারা আগ্রহ প্রকাশ করেননি। শিক্ষার্থীদের যেকোনো কাজে প্রাধ্যক্ষকে পাওয়া যায় না।

তারা আরও জানান, ক্যান্টিনে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় শিক্ষার্থীরা সাধারণ সভায় খাবারের দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়। পরে খাবারের দাম কমানো হলে ক্যান্টিন মালিক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা শুরু করে।

এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক ছাত্রী সুলতানা আফরিন টুম্পা বলেন, “হলের ক্যান্টিন অপরিষ্কার থাকে, সেখানে বসে খাবার খাওয়ার মতো পরিবেশ নেই। এসব বিষয়ে কয়েকবার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেও লাভ হয়নি। হলের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যায় প্রাধ্যক্ষ সামনে আসেনি।”

শ্রাবণী আক্তার বলেন, “হলের ক্যান্টিনের মালিকের মেয়ে সুইটির আচরণ খুবই খারাপ। তিনি তুই-তোকারি করে কথা বলেন। এছাড়া হলের সংস্কারকাজে দীর্ঘ সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য হল প্রাধ্যক্ষকে ফোন দিলেও পাওয়া যায় না।”

এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সম্পর্কে হলের ওয়ার্ডেন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছি। শুধু তিন মাসের জন্য হলের নতুন ক্যান্টিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর ক্যান্টিন কর্মচারীর খারাপ আচরণের কথা আজই জানানো হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, “যাতে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হয়, তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করি, শিক্ষার্থীরাও তাদের ভালোটাই বুঝবে।”

পরে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতির আশ্বাসে হলে ফিরে যায় ছাত্রীরা।

Link copied!