সপ্তাহ ঘুরলেই সরস্বতী পূজা। বিদ্যাদেবীর আরাধনায় মাতবেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা। আট থেকে আশি—সকলেই এ দিন ব্যস্ত হয়ে পড়বেন অঞ্জলি দিতে। যারা পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়েছেন বহুকাল আগে, তারাও ওই দিনে কিছুক্ষণের জন্য ফিরে পেতে চাইবেন শৈশব।
সিরাজগঞ্জের কুমারপাড়াতেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তা স্বত্বেও চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। বিগত দুবছর ধরে তাদের একের পর এক ধাক্কা দিয়ে চলেছে করোনা। আপাতত বন্ধ সমস্ত স্কুল। বড় সরস্বতী প্রতিমার চাহিদা যে কমবে, সেটা এখন থেকে বুঝে গিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। অন্যান্য বছরে, এখন থেকেই শুরু হয়ে যায় চাঁদা তোলার ধুম। স্কুল থেকে শুরু করে ক্লাব, বাড়িতে বাড়িতে হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনা। স্কুলগুলিতে বড় বড় মাপের সরস্বতী প্রতিমার পূজা হয়। ওই একটা দিনই ছুটি থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয় যেতে মন ছটফট করে পড়ুয়াদের, আবার পরের দিন ক্লাবের পাড়ার পূজা মণ্ডপে কাটিয়ে দেওয়া যায় পুরো একটা দিন। উপলক্ষ শুধুমাত্র সরস্বতী পূজা।
মৃৎশিল্পী গৌতম কুমার পাল বলেন, “বেলকুচির সকল প্রতিমা আমরাই তৈরি করি। আগে প্রতিমা তৈরি করেই চলতো আমাদের সংসার। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে এই মৃৎশিল্পের কাজ করে আসছে। গত কয়েক বছর করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বড় কোন প্রতিমার অর্ডার হয় না। ছোট ছোট প্রতিমা তৈরি করে কাজের মজুরি থাকে না তার পরেও প্রতিমা তৈরির কাজ বাদ দিতে পারি না।”