উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ।
সকালের দিকে ভোটারদের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভোটারদের সংখ্যা।
ভোট কেন্দ্রেগুলোর বাইরে নৌকার সমর্থন থাকলেও, হাতির সমর্থকদের দেখা সেইভাবে মেলেনি।
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হচ্ছে বলে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভোটারদের।
নারায়ণগঞ্জ সদরে হাজীগঞ্জ আই টি সরকারি বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ভোটার দেলোয়ার (৫৫) বলেন, “পুলিং এজেন্টরা আমগো কোনো সাহায্য করতাছে না। অনেক ভোট নষ্ট অইতাছে। আমি ১১ নম্বর থাইকা ভোট দিতে আইছি। কিন্তু আমি দুইজন কাউন্সিলররে ভোট দিতে পারছি। মেয়ররে ভোট দিতে পারি নাই।”
ওই কেন্দ্রের পুলিং এজেন্ট রতন কুমার বলেন, “যারা ভোট দিতে আসছেন তাদের প্রথমে আমরা বুঝিয়ে দিচ্ছি ইভিএম এ কীভাবে ভোট প্রদান করবে। তারপর তারা তাদের ভোট দিচ্ছে।”
আই টি সরকারি বিদ্যালয় থেকে আটক হওয়া শাহ আলম (৫৫) জানান, তিনি ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্রের পাশে ছিলেন। একাধিক বার ভোট কেন্দ্রে আসায় সন্দেহভাজন বলে তাকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্য দিকে জামাল (৫০) নামে আরেক ব্যক্তিকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
জামালের স্ত্রী ফাহেতা বলেন, “হাতি মার্কা কার্ড গলায় ঝুলিয়েছে বলে আমার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়া গেছে।”
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন বলেন, ভোট দেওয়ার পরও বাইরে ঘোরাঘুরির কারণে আমরা তাদের আটক করি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে সাত প্রার্থী, কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।