লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন খানের নেতৃত্বে রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। এর মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত করতে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সব নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তিনি এককভাবে ভাদুর ইউনিয়নে কর্মী সভা করায় উপজেলায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ মার্চ) ড. আনোয়ার খানের নেতৃত্বে রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার দলকে আরও গতিশীল করতে প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এক দিন না যেতে সফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কর্মী সভা করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাদুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, রামগঞ্জ ছিল বিএনপির ঘাঁটি। কিন্তু আনোয়ার খান নিজের ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করে গত ১০ বছর দিন-রাত পরিশ্রম করে রামগঞ্জকে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর এবং সব ওয়ার্ডে মেম্বাররা নির্বাচিত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে সিনিয়র অনেক নেতা বলেন, সফিকুল ইসলাম এ সিট আওয়ামী লীগের নয় বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এককভাবে কর্মী সভা করে দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।