যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সব বাধা কাটিয়ে বর্তমান আওয়ামী যুবলীগ আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালী কাজী আবুল কাসেম স্টেডিয়ামে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরশ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “১৯৭১ সালে বিজয় হয়েছিল চেতনার এবং মূল্যবোধের। আর এই বিজয়ের মাসে দেশপ্রেমভিত্তিক রাজনীতির বিজয় হবে। রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “রাজনীতি করলে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সাংগঠনিক পদ কোনো বাজার থেকে কেনা পণ্য নয়। রাজনৈতিক পদপদবি অবৈধ কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।”
এর আগে সম্মেলন মাঠে উপস্থিত হয়ে বেলুন, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
জেলা যুবলীগের আহ্ববায়ক আরিফুজ্জামান রনির সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্ববায়ক মো. শহিদুল ইসলাম শহিদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. শাহজাহান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, মো. মহিবুর রহমান মুহিব, এসএম শাহাজাদা, কাজী কানিজ সুলতানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান মোহন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত।
সংগঠন সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ৭ জুলাই জেলা আওয়ামী যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ বিরোধে বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহমুদুর রহমান পলাশ মৃধাসহ অন্তত ১০ গুরুতর আহত হন এবং ১১ জুলাই পলাশ মৃধা মারা যান। পরে ২৯ জুলাই টুঙ্গিপাড়ায় এক বিশেষ কাউন্সিলর অধিবেশনের মাধ্যমে আহসান হাবিব খানকে সভাপতি ও কাওসার আহমেদ মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব খান মারা যান। ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল মো. আরিফুজ্জামান রনিকে আহ্বায়ক ও মো. শহীদুল ইসলাম শহীদকে যুগ্ম আহবায়ক করে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।