• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বোরো ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২২, ০৯:৩৫ এএম
বোরো ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ

সাতক্ষীরা জেলায় বোরো ধানের পাতায় ব্লস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ধান গাছ আক্রান্ত হতে না হতেই পাতা সাদা ও লাল হয়ে পুড়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে।

সরেজমিনে শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদরের যোগরাজপুর, উত্তর দেবনগর, আখড়াখোলা, তুজুলপুর, মাধবকাটি ও রামেরডাঙাসহ বিভিন্ন বিলে গিয়ে দেখা গেছে, বোরো ধানের ক্ষেতে বিশেষ করে ২৮ ধানের পাতা শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধান গাছ ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে।  কোনো দিশা না পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক স্প্রে করছেন। তবে তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

যোগরাজপুর গ্রামের সাবান আলী জানান, তিনি এবার চার বিঘা জমিতে ২৮ ধানের চাষ করেছেন। দুসপ্তাহ আগে বিনেরপোতা, নগরঘাটা এলাকায় ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। কোনো উপায় না দেখে আলাপ করেন কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। তিনি ইউরিয়া সারের সঙ্গে কীটনাশক ফসত্রিন ও উল্কা মিশিয়ে ধান ক্ষেতে ছিটিয়েছেন। এতে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৪০০ টাকা। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও ব্লাস্ট রোগ কমছে না। বরং ধান গাছ আরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

একই গ্রামের নূর মোহাম্মদ জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে ২৮ জাতের বোরো চাষ করেছেন। ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ধানে ফুল আসবে। অথচ এক সপ্তাহ আগে থেকেই পাতার ব্লাস্ট রোগে গাছ সাদা হয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। নাটিভো, ট্রুফার ছড়িয়ে বা ফিনিয়া স্প্রে করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান তো নয়ই, বিচালি পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। 

এ ব্যাপারে ঝাউডাঙা ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজার কিরণ কান্তি সরকার বলেন, বোরো ধান সাধারণত পাতা ব্লাস্ট, গীট ব্লাস্ট ও শিস ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এবার তুজুলপুর, যোগরাজপুর, আখড়াখোলাসহ বিভিন্ন বিলে পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলেও তা খুব বেশি নয়। কৃষকদের নাটিভো, ট্রুফার ও ফিনিয়া ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে সুফল ও পাচ্ছেন অনেকে। তবে গরম, ঠান্ডা ও কুয়াশাজনিত আবহাওয়ার  কারণে এ রোগ দেখা দিচ্ছে। দক্ষিণা বাতাস শুরু হলে রোগের প্রাদুর্ভাব আস্তে আস্তে কমে যাবে।
 

Link copied!