গত দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রংপুরের কাঁচাবাজারে। দুদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরবরাহ কমার কারণে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হঠাৎ শুরু হয় দমকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, চলে দুইদিন।
রংপুর সিটি বাজারে বাজার করতে এসেছেন গৃহিণী শরীফা আক্তার। গত তিন চারদিন পর রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাজারে এসেই দেখেন সব সবজির দাম বেশি।
শরীফা আক্তার বলেন, “প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানদাররা বৃষ্টির কথা বলছেন।”
লালবাগ বাজারে বাজার করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত দুদিন আগে বেগুন ৪০ টাকা কেজি নিয়েছিলাম কিন্তু আজ ৬০ টাকা দরে কিনতে হলো। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আলু ও কপি সবকিছুরই দাম বেড়েছে।”
সবজির দাম ও সরবরাহের বিষয়ে রংপুর সিটি বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রাহেল মিয়া বলেন, “বৃষ্টির কারণে শাক-সবজির আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।”
রংপুর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, মুলাটোল বাজার, লালবাগ বাজার ও স্টেশন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা । টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। নতুন আলু দুদিন আগে প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৬ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আগে ছিল ২৫ টাকা। প্রতি কেজি শিম ৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০ টাকা। বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, আগে ছিল ১০ টাকা। ফুলকপি প্রতিটি ৩০ টাকা, আগে ছিল ২০ টাকা। শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আগে ছিল ৪৫ টাকা। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আগে ছিল ৬০ টাকা। ব্রকলি প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, আগে ছিল ২৫ টাকা। মটরশুঁটি (খোসাসহ) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আগে ছিল ৬০ টাকা। বরবটি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, আগে ছিল ৮০ টাকা।