চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঘুমন্ত অবস্থায় হযরত আলী (৫৬) নামের একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত রহিছ উদ্দিনের ছেলে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত হযরত আলী বিজিবির সোর্স ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
নিহতের ছেলে তৌফিক হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। পরে পাশের কক্ষে আমার বাবার গোঙানি আওয়াজ শুনতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি বাবার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে বাবাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নিয়ে আসি। রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।’
তৌফিক আরও জানান, তার বাবা হযরত আলী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সেই সূত্র ধরেই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিরা তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন জানান, নিহতের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।