• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিকৃত যৌনাচারে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে হত্যা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৩:২৯ পিএম
বিকৃত যৌনাচারে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে হত্যা

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী গ্রামে ধর্ষণের পর খুন করা হয় বিবিজান নেছা (৪৫) নামে এক নারীকে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের হাতে আটক হন ইয়াদ আলী মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। বিবিজান নেছা হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে বিকৃত যৌনাচার থেকে ইয়াদ আলীর সিরিয়াল কিলার হয়ে উঠার ভয়ঙ্কর গল্প। কী ভাবে তিনি একে একে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তার বর্ণনা দেন ঘটনাস্থলে গিয়ে। তার এই বর্ণনা শুনে চমকে ওঠেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ইয়াদ আলী নড়াইল জেলার বিলডুমুরতলা গ্রামের মৃত চাঁন মোল্লার ছেলে।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে বিবিজান নেছা নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে ইয়াদ আলী মোল্লা। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে র‌্যাবে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের ছেলে আবু জাফর বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেন। 

পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার তেঁতুলতলা এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ইলিয়াস আলী পাটোয়ারী ও ৯ ফেব্রুয়ারি লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘরের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ধরণ একই রকম দেখে সন্দেহ হলে ওই দুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইয়াদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই হত্যাকাণ্ডের কথাও শিকার করেন ইয়াদ আলী।

ইয়াদ আলী জানায়, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ইলিয়াস পাটোয়ারীর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে মাথায় করে হত্যা করা হয় বৃদ্ধ ইলিয়াসকে। 

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির সঙ্গেও বিকৃত যৌনাচারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ইয়াদ। 

পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার বলেন, “আমরা তদন্ত করে ও তার হত্যার বর্ণনা দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে বিকৃত যৌনাচার ও ধর্ষণে বাধা দেওয়ার কারণে ইয়াদ আলী একে একে তিনটি হত্যা করেন।”

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, “তিনটি ঘটনায় ২টিতে হত্যা মামলা ও ১টিতে অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। এখন ৩টি হত্যা মামলা বলে গণ্য হবে। ইয়াদ আলী আরও কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত কি না তা বের করার চেষ্টা করছি। ইয়াদ নড়াইল থেকে ৫ মাস আগে ঝিনাইদহ শহরে আসে।”
 

Link copied!